ভোটের মুখে সংবাদমাধ্যমে বিজেপির দেওয়া বিজ্ঞাপনকে অসম্মানজনক বলে কলকাতা হাইকোর্টে গিয়েছিল তৃণমূল। হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের একক বেঞ্চ বিজ্ঞাপনগুলির উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয়। এরপরই বিজেপি যায় ডিভিশন বেঞ্চে। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ একক বেঞ্চের নির্দেশ বহালের পক্ষেই রায় দেয়। বিচারপতি শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, সিঙ্গেল বেঞ্চ যে হেতু এই মামলায় অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়েছে তাই ওই নির্দেশের উপর ডিভিশন কোন হস্তক্ষেপ করবে না। হকোর্টের এই রায়ের পড়ি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। তবে এবার সেখান থেকেও ফিরতে হওয়ায় লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফা ভোটের আগে অস্বস্তিতে পড়তে হল গেরুয়া শিবিরকে।
সোমবার বিচারপতি জেকে মাহেশ্বরী ও বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের এজলাসে এই বিজ্ঞাপন মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, পুনর্বিবেচনার আবেদন নিয়ে ফের কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চের দ্বারস্থ হতে হবে বিজেপিকে।
এদিন শুনানি চলাকালীন বিজেপির তরফে আইনজীবী পিএস পাটওয়ালিয়া বলেন, বাস্তব তথ্যের উপর ভিত্তি করেই বিজ্ঞাপনগুলি করা হয়েছে। পাল্টা আদালতের পর্যবেক্ষণ, প্রতিপক্ষ কখনও শত্রু নয়। বিচারপতি বলেন, ‘আমরা বিজ্ঞাপনগুলি দেখেছি। বিজ্ঞাপনগুলি অত্যন্ত নিন্দনীয়। নিজেকে শ্রেষ্ঠ বলা যেতেই পারে। কিন্তু শত্রুতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে আমরা কোনও ভূমিকা পালন করব না।
নির্বাচন চলাকালীন বিজেপির বেশ কিছু বিজ্ঞাপন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। সে সমস্ত বিজ্ঞাপন নিয়ে আপত্তি জানায় তৃণমূল কংগ্রেস।দুটি বিজ্ঞাপনে লেখা ছিল ‘দুর্নীতির মূল মানেই তৃণমূল’ এবং ‘সনাতন বিরোধী তৃণমূল’। এই দুটি বিজ্ঞাপন নিয়ে ঘর আপত্তি জানায় তৃণমূল কংগ্রেস। এই বিজ্ঞাপনকে বিভ্রান্তিকর, ভ্রান্ত এবং অবমাননাকর বলে অভিযোগ করে তৃণমূল কংগ্রেস। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় তারা। কমিশন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে শোকজ করে।