গান্ধিনগর, ১০ জানুয়ারি – গুজরাটে আগামী ৫ বছরে ২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করার কথা ঘোষণা করল আদানি গোষ্ঠী। আদানি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান গৌতম আদানি এই বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেন। এর ফল ১ লক্ষেরও বেশি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ চাকরি হবে। বুধবার দশম ভাইব্র্যান্ট গুজরাট শীর্ষ সম্মেলনে এই ঘোষণা করা হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল , ছাড়াও শিল্পপতি এবং অন্যান্য অংশীদার দেশগুলির প্রতিনিধিরা।
আদানি গোষ্ঠী কচ্ছের খাপদাতে ৭২৫ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বিশ্বের বৃহত্তম গ্রিন এনার্জি পার্ক তৈরী করতে চলেছে। ৩০ গিগাওয়াট পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপন্ন হবে এই এনার্জি পার্কে। আদানি গোষ্ঠীর দাবি, মহাকাশ থেকেও এই পার্ক দেখা যাবে। আদানি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান এদিন বলেন, ‘ আজ আমি আরও বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিলাম। আমরা এই গ্রিন এনার্জি পার্ক তৈরী করে আত্মনির্ভর ভারতের জন্য সবুজ সরবরাহ শৃঙ্খল প্রসারিত করছি।’
আগামী ৫ বছরে ২ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ করার ফলে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। ১ লক্ষ চাকরির সুযোগ হবে বলেই দাবি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যানের।এদিন তাঁর ভাষণে গৌতম আদানি মোদির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। আদানির কথায়, ”আপনার নেতৃত্বে ২০৪৭ সালের মধ্যেই ভারত উন্নত দেশে পরিণত হবে। ভারতকে শক্তিশালী দেশে পরিণত করবেন আপনিই।” আদানি বলেন, মোদি শুধু উন্নত ভারতের ভবিষ্যৎ বাণী করেননি, তার বাস্তব রূপ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি হিন্ডেনবার্গ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পেয়েছিলেন আদানি। শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, হিন্ডেনবার্গ মামলায় সিটের তদন্তের প্রয়োজন নেই। এই মামলায় সেবি-র তদন্তের উপরই ভরসা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এর পরই এই গোষ্ঠীর শেয়ার দ্রুত গতিতে এগিয়ে যায় । ‘ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইন্ডেক্স’ অনুসারে এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তির শিরোপা পান তিনি। তার আগে সুপ্রিম-রায়ের পরে প্রতিক্রিয়ায় জানান, ”সত্যের জয় হয়েছে। যাঁরা আমাদের পাশে ছিলেন, তাঁদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। এভাবেই ভারতের উন্নয়নের কাজ চালিয়ে যাব।”
গৌতম আদানি এদিন বলেন, ‘আগের সম্মেলনে আমি ২০২৫ সালের মধ্যে ৫৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগের ঘোষণা করেছিলাম। সেই প্রতিশ্রুতিমতো বিভিন্ন সেক্টরে ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছি। সেখানে ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষে চাকরি হয়েছে। এই লক্ষ্য পূরণ করতে পেরে আমরা তৃপ্ত , আনন্দিত।’