দিল্লি, ২৬ মার্চ – পূর্ব ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ওড়িশার গোপালপুর বন্দর অধিগ্রহণ করল গৌতম আদানির কোম্পানি। সূত্রের খবর, ৩ হাজার ৩৫০ কোটি টাকায় এই চুক্তি করা হয়েছে।এই নিয়ে ভারতের সাতটি সমুদ্র বন্দর হাতে এল আদানি পোর্টস স্পেশাল ইকোনোমি জোন বা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের। ভারতের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত হওয়ায় এই বন্দরটির দিকে আদানি গ্রুপের লক্ষ্য ছিল। এই বন্দর নিযে আদানির পূর্ব উপকুলে ৬টি বহুমুখী বন্দর থাকবে।
বন্দর বাণিজ্যে নিজেদের আধিপত্য বাড়িয়ে চলেছে আদানি গোষ্ঠী। এই গোষ্ঠী নতুন বন্দরের উপর কাজ করছে। ২০১৪ সাল থেকে বন্দর ব্যবসায় নেমে আদানি গোষ্ঠী এখনও তার কর্তৃত্ব বজায় রেখেছে। ধামরা, কাট্টুপল্লি, কৃষ্ণপত্তনম, দিঘি, গঙ্গাবরম এবং করাইকাল বন্দরের পর এবার গোপালপুর বন্দর অধিগ্রহণ করে আদানি গোষ্ঠী সেই জমি আরও শক্ত করল। এবার আদানি পোর্টস ওড়িশার গোপালপুরে অবস্থিত শাপুরজি পালোনজি গ্রুপের গোপালপুর বন্দরও অধিগ্রহণ করল। গোপালপুর বন্দরের আগের মালিক গোষ্ঠী শাপুরজি পালোনজি মঙ্গলবার তাদের পরিত্যক্ত গোপালপুর বন্দর বিক্রির কথা ঘোষণা করে।
শাপুরজিরা ২০১৭ সালে নির্মীয়মাণ এই বন্দরটি কেনে। এই গোষ্ঠী ধীরে ধীরে বন্দর ব্যবসা ছেড়ে অন্য ব্যবসার দিকে ঝুঁকেছে। যেমন নির্মাণ শিল্প এবং পরিকাঠামো, ইমারতি ব্যবসা, বিদ্যুৎ বণ্টন। এর আগে মহারাষ্ট্রের ধরমতার বন্দর তারা জেএসডব্লুকে ৭১০ কোটি টাকায় বেচে দেয়। এদিন অ্যাপসেজের তরফেও জানানো হয়, তারা গোপালপুর বন্দরের ৯৫ শতাংশ মালিকানা কিনে নিয়েছে। এর ফলে পূর্ব উপকূলে আদানি গোষ্ঠী আরও শক্তিশালী হল।
গোপালপুর বন্দর কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত হওয়ায় এই বন্দরের দিকে আদানি গোষ্ঠীর বিশেষ লক্ষ্য ছিল। পশ্চিম উপকূলে ইতিমধ্যেই আদানি গোষ্ঠীর যথেষ্ট প্রতিষ্ঠিত। এবার পূর্ব উপকূলেও এই গোষ্ঠীর বিশেষ নজর ছিল। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, অধিগ্রহনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই আদানি পোর্টসের শেয়ারের দাম মঙ্গলবার উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পায়।