• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

দেশের ৭৬ শতাংশ কোভিড রােগির হাইপারটেনশন ও ডায়বেটিস আছে, জানালাে স্বাস্থ্যমন্ত্রক

দেশের করােনা রেগিদের শরীরে ভাইরাস ছাড়াও আরও অন্যান্য রােগের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। বিশেষ করে দেশের ৭৬ শতাংশ কোভিড রােগি কো মর্বিডিটির শিকার।

প্রতিকি ছবি (File Photo: AFP)

করােনা সংক্রমণে সবচেয়ে কম মৃত্যুহার ভারতে। কেন্দ্রের পরিসংখ্যানে এমনটাই দেখা গিয়েছে। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিক তথ্য বলছে- দেশের করােনা রেগিদের শরীরে ভাইরাস ছাড়াও আরও অন্যান্য রােগের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। বিশেষ করে দেশের ৭৬ শতাংশ কোভিড রােগি কো মর্বিডিটির শিকার। মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ ছাড়াও হাইপারটেনশন ও ডায়েবিটিস ধরা পড়েছে বেশিরভাগের শরীররে। 

কেন্দ্রের তথ্য বলছে, কোভিড পজিটিভ রােগিদের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, অন্তত ৫.৭৪ শতাংশ রােগি হাইপারটেনশনে আক্রান্ত। ৫২০ শতাংশের মধ্যে রয়েছে ডায়েবেটিস। তাছাড়া বয়সজনিত অসুস্থতা, লিভারের রােগ, ক্রনিক কিডনির রােগ, সিওপিডি, ম্যালিগন্যান্সি, ব্রঙ্কাইটিস, নিউরােমাস্কুলার রােগ এবং কম প্রতিরােধ ক্ষমতার মতাে রােগে আগে থেকেই কাবু কোভিড রােগিদের একটা বড় অংশই। 

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কম রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতা ও ক্রনিক রােগের কারণে। ভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে শরীরে। ডায়েবেটিস, কিডনির রােগ বা ক্রনিক ফুসফুসের রােগ যাদের আছে তারা খুব তাড়াতাড়ি সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোমে আক্রান্ত হতে পারে।

দেখা গেছে ইনটেনসিভ কেয়ারে ভেন্টিলেটর সাপাের্টে থাকা বা কৃত্রিম অক্সিজেন সাপাের্টে থাকা বেশির ভাগ করােনা রােগিই কো মর্বিডিটির শিকার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধুমাত্র মৃত্যুহার দিয়ে কখনই সংক্রমণের তীব্রতা বােঝানাে সম্ভব নয়। কারণ মৃত্যুহার নির্ভর করে বয়স, কো মর্বিডিটি, জনগােষ্ঠীর বয়সভিত্তিক অনুপাত-সহ একাধিক বিষয়ের ওপরে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানাচ্ছে- সোমবার অবধি সমীক্ষায় দেখা গেছে ৬৩ শতাংশ কোভিড রােগির বয়স ৪০ বছর বা তার বেশি। অন্তত ১০ শতাংশ রােগির বয়স ৬০ এর বেশি। প্রবীণ রােগিদের অনেকই কিডনির রােগ বা ডায়েবেটিসে আক্রান্ত।

দেশের করােনা রােগিদের ৬৮.৪৮ শতাংশ পুরুষ। মহিলাদের সংখ্যা তুলনায় কম, ৩১.৫১ শতাংশ। স্ত্রী হরমােন ইস্ট্রোজেনের কারণে মহিলারা কম প্রভাবিত হচ্ছেন বলে দাবি করা হয়েছে দেশি-বিদেশী একাধিক গবেষণায়। দাবি করা হয়েছে স্ত্রী যৌন হরমােন ইস্ট্রোজেন ভাইরাস রিসেপটর প্রােটিনের প্রভাব কমাতে পারে। যদিও এই তত্ত্ব নিয়ে নানা মতভেদ আছে।