মঙ্গলবার ৭৪ বছরে পদার্পন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ৭৪তম জন্মদিবস উপলক্ষে দেশ জুড়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানানোর ঢল নেমেছে। রাজনৈতিক সতীর্থ থেকে শুরু করে প্রতিপক্ষ, প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপনে বাদ গেলেন না কেউই। গতবারের মতোই এবারও সেই তালিকায় রইলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বলা বাহুল্য, একেবারে কট্টর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কাছ থেকেই জন্মদিনের শুভেচ্ছাবার্তা পেলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। মঙ্গলের সকাল ১০টা ২১মিনিট নাগাদ অভিষেক নিজ এক্স হ্যান্ডলে প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন জন্মদিনের উষ্ণ অভিনন্দন।
সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছাবার্তায় অভিষেক লিখেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জন্মদিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা। আপনার সুস্বাস্থ্য এবং আনন্দ কামনা করি’। রাজনৈতিক মতাদর্শগত লড়াইকে দূরে সরিয়েই এদিন সতীর্থের রূপে অবতীর্ণ হয়েছেন অভিষেক। উল্লেখ্য, গতবছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কেবল জন্মদিনের উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েই ক্ষান্ত ছিলেন অভিষেক। কেবল লিখেছিলেন, ‘সম্মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজিকে জন্মদিনের উষ্ণ অভিনন্দন জানাই’। কেবল শুভেচ্ছাবার্তা নয়, পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্যও কামনা করলেন তিনি। অভিষেক-নীতি অনুযায়ী, রাজনীতিটা কেবল রাজনৈতিক ময়দানেই শোভনীয়, মনুষ্যত্ব এবং মানবিকতার মঞ্চে নয়।
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে জন্মদিন বা বিশেষ দিনের শুভেচ্ছা জানানোর সংস্কৃতি ভারত তথা বিশ্বে নতুন নয়। যদিও বিরোধীদের একটি অংশের দাবি, ২০১৪ পরবর্তী ভারতে সেই সংস্কৃতির পরিবর্তন ঘটেছে। এই প্রেক্ষাপটে যতই রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি চলুক না কেন, প্রধানমন্ত্রী মোদীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কট্টর মোদী সমালোচক অভিষেক। প্রসঙ্গত, অভিষেক তাঁর রাজনৈতিক শিক্ষা অর্জন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে। মমতা নিজেও ভুলে যান না প্রধানমন্ত্রীকে জন্মদিবসে শুভেচ্ছা জানাতে। সেই পথই অনুসরণ করেছেন অভিষেক।
বাংলায় কেন্দ্রের বকেয়া অর্থ থেকে নারী সুরক্ষা, বাজেট থেকে রেল পরিষেবা এমন একাধিক বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি বাকযুদ্ধ চলেছে অভিষেকের। কিন্তু এই রাজনৈতিক লড়াই প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সৌজন্য কমিয়ে দেয়নি। অভিষেকের এই সৌজন্য রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট প্রশংসিত। বছর ৩৬-এর এই যুবকের রাজনীতিতে গভীর অন্তর্দৃষ্টি এবং রাজনৈতিক সৌভাতৃত্ব গড়ার প্রয়াস হৃদয় ছুঁয়েছে প্রবীণ রাজনৈতিক নেতাদের।