দিল্লি, ৭ ফেব্রুয়ারি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একসময় বলেছিলেন,’না খায়ুঙ্গা, না খানে দুঙ্গা’। সেই স্লোগানে দেশের একশ্রেণীর মানুষ একসময় আশ্বস্ত হয়েছিলেন। ভেবেছিলেন এবার বোধহয় দুর্নীতি দেশ থেকে চিরতরে বিদায় নেবে। বন্ধ হবে সমস্ত জালিয়াতি। দেশে রামরাজ্য প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু, মোদী সরকারের গত দশ বছরের মাথায় দেখা গেল ‘যে কে সেই’ অবস্থা। আকাশ ছোঁওয়া ব্যাংক জালিয়াতি। শুধু গত পাঁচ বছরে দেশে ব্যাংক জালিয়াতি হয়েছে ৩ লক্ষ ৩ হাজার কোটি টাকা।
এসবিআই, ইউবিআই, ব্যাঙ্ক অব বরোদা, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের মতো ১২টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে এই জালিয়াতি হয়েছে। ২০১৮-২০১৯ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে এই জালিয়াতির পরিমাণ ৩ লক্ষ ২ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা। এই কথা স্বীকার করে নিয়েছে কেন্দ্রের মোদী সরকারের অর্থ মন্ত্রক। জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে এসবিআই, ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া এবং ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ায় জালিয়াতির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক জালিয়াতি রুখতে কী ব্যবস্থা নিয়েছে? কোন ব্যাংকে কত টাকা জালিয়াতি হয়েছে? সম্প্রতি এই বিষয়ে সরকারের কাছে একটি লিখিত জবাব তলব করেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই লিখিত প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ভগবত কারাড এই জালিয়াতির তথ্য স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, জালিয়াতি রুখতে ব্যাঙ্কগুলিকে ৩৪ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে। জালিয়াতি রুখতে দেশজুড়ে সচেতনতাও বাড়ানো হয়েছে।