ক্যাবিনেটে জায়গা না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ শিবসেনা নেতা আব্দুল সত্তারের ইস্তফা দেওয়া নিয়ে গুজব ছড়ানাে হয়েছে বলে মন্তব্য করে শিবসেনার তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আব্দুল সত্তার ইস্তফা দেননি। আগামিকাল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি দেখা করবেন। ঔরঙ্গাবাদ জেলার সিলােদের বিধায়কের ইস্তফা দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শিবসেনার পরিস্থিতি সামাল দিতে নেমে পড়ে- দলের সিনিয়র নেতা অর্জুন কোটকারকে ঔরঙ্গাবাদে পাঠিয়ে সত্তারকে বােঝানাের চেষ্টা করা হয়।
শিবসেনায় সত্তারের ঘনিষ্ট মহল জানাচ্ছে, সত্তারকে ক্যাবিনেট মন্ত্রী করা হয়নি, প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে– দলীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে আব্দুল সত্তার খুশি নন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি কংগ্রেস থেকে শিবসেনায় যােগ দিয়েছিলেন। কংগ্রেস-এনসিপি জোট প্রশাসনে তিনি ক্যাবিনেট মন্ত্রী ছিলেন। তিনি আশা করেছিলেন তাঁকে সেনা নেতৃত্বাধীন জোট প্রশাসনেও ক্যাবিনেটে জায়গা দেওয়া হবে।
মহারাষ্ট্র বিকাশ অঘােরী জোট প্রশাসন থেকে সরে দাড়ানাের ব্যাপারে আব্দুল সত্তার যদিও নিজে কোনও মন্তব্য করেননি। সত্তার একা নন, ঠাকল্পে মন্ত্রীত্ব বন্টনের প্রশ্নে শিবসেনা দলের অনেক মন্ত্রীও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন- তিন জন নির্দল বিধায়কের মধ্যে উদ্ধব ঠাকরে তাঁর মন্ত্রীসভায় এক জনকে ও বাকি ২ জনকে জুনিয়র মন্ত্রী করেছেন। আব্দুল সত্তারের ঘনিষ্ট মহল আরও বলেছে, মন্ত্রীত্ব ছাড়াও ঔরঙ্গাবাদ জেলার কাউন্সিল সভাপতি নির্বাচনে কংগ্রেসকে সমর্থন করার ব্যাপারে শিবসেনা নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে সত্তার ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
শিবসেনা নেতা কোটকার বলেন, ‘সত্তার ইস্তফা পত্র জমা দেননি। এটা পুরােটা গুজব। তিনি মাতােশ্ৰীতে গিয়ে আগামিকাল উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা করলে। দলের প্রবীণ নেতা একনাথ শিল্পের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। আব্দুল সত্তারের পদত্যাগ নিয়ে সকাল থেকে জোরদার নাটক শুরু হয়, যদিও তিনি কোনও কথা বলেননি। সকাল থেকে শুরু হওয়া নাটক শিবসেনা ও মহা অঘােরি জোটের কাছে রীতিমতাে বড় ধাক্কা।
শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত বলেন, ‘সত্তার ইস্তফা দিচ্ছেন বলে কোনও খবর জানতে পারিনি। শিবসেনার হতে অনেকগুলাে মন্ত্রক নেই, ফলে সকলকে একটু মানিয়ে চলতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী ঠাকরে ওনাকে সম্মান দিয়েছেন- মন্ত্রী করেছেন। যাদের ক্যাবিনেট মন্ত্রী করা হয়নি বলে হতাশ, তারা কেউই সেনা-ঘরানার লােক নন। তাদেরকে পুরাে সিস্টেমের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে একটু সময় লাগবে।