হরিয়ানায় ৯০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ২০টি আসনে প্রথম দফার প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করল আমি আদমি পার্টি। হরিয়ানায় কংগ্রেস-আপ জোট নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলাকালীনই এই প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করায় আসন সমঝোতার সম্ভাবনা আর নেই বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। আপের হরিয়ানা শাখার সভাপতি সুশীল গুপ্ত সোমবার প্রথম দফার প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করে বলেন, ‘যদি কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা না হয় , তাহলে আমরা ৯০টি আসনেই লড়তে প্রস্তুত।
আসন্ন হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে আপ ১০টি আসন দাবি করেছিল। তবে ৭টির বেশি আসন দিতে রাজি হয়নি কংগ্রেস। এই আবহে সোমবার বিকেলে আপ নেতা সুশীল গুপ্ত রাজ্যের ৯০টি বিধানসভা আসনেই প্রার্থী আপের প্রার্থী দেওয়ার সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেন। ফলে ইন্ডিয়ার এই দুই শরিকের সমঝোতার সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক নেতারা। আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংহ সোমবার বলেন, ‘আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা করে শুধুই সময় নষ্ট করা হচ্ছে। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর মনোয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। এর পরে তো আমরা আর মনোনয়ন জমায় দিতে পারব না।
এবারের লোকসভা ভোটে বিজেপি শাসিত হরিয়ানায় সমঝোতায় আসে কংগ্রেস ও আপ। হরিয়ানার ১০টি আসনের মধ্যে একটি আপকে ছেড়ে ৯ টিতে লড়েছিল কংগ্রেস। এর মধ্যে ৫টিতে জেতে বিজেপি, ৫টিতে কংগ্রেস। ২০১৯-এ ১০টি আসনেই যেতে বিজেপি।
বিধানসভায় জোটের পথেই এগিয়ে যায় কংগ্রেস ও আপ। কিন্তু আসন সংখ্যা ছাড়াও কংগ্রেস যে আসনগুলি আপের জন্য ছাড়তে রাজি হয়, সেগুলিতে আপত্তি করে আপ। তাঁরা কালায়াত এবং কুরুক্ষেত্র এলাকায় অন্তত একটি আসন না পেলে কোনওভাবেই জোটে যেতে রাজি নয়। এই আবহেই রাজ্যের ৯০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করল আপ।
এদিকে আসন সমঝোতা ঘিরে এই মতবিরোধের মধ্যেই সোমবার হরিয়ানা বিজেপির সহ-সভাপতি জিএল শর্মা কংগ্রেসে যোগ দেন। গুরুগ্রাম এলাকার প্রভাবশালী এই নেতা ভোটব্যাঙ্কের সমীকরণ বদলে দেবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।