৩ দিনের অভিযানে মণিপুর থেকে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক 

ভারতীয় সেনাবাহিনী, মণিপুর পুলিশ, আসাম রাইফেলস এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর তিন দিনের যৌথ অভিযানে মণিপুর থেকে প্রচুর অস্ত্র, যুদ্ধে ব্যবহারযোগ্য গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। এই সমস্ত অস্ত্র ও গোলাবারুদ মণিপুর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মণিপুরের চূড়াচাঁদপুর, কাকচিং ও থৈবাল জেলায় অভিযান চালানি হয়। এই অভিযানে নেতৃত্ব দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী, আসাম রাইফেলস ও মণিপুর পুলিশ। দক্ষিণ মণিপুরের একাধিক জেলা জুড়ে এই তল্লাশি অভিযান চলে। 

 
আসাম রাইফেলস এবং মণিপুর পুলিশ চূড়াচাঁদপুরে অভিযান চালিয়ে ১টি ৯ এমএম পিস্তল, ৫টি সিঙ্গল ব্যারেল রাইফেল, এবং পাঁচটি মর্টার উদ্ধার করে। দ্বিতীয় দিন কাকচিং থেকে যৌথ অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয় ৩টি কার্বাইন মেশিনগান, ১টি ৯ এমএম পিস্তল, ২টি সিঙ্গল ব্যারেল রাইফেল, হ্যান্ড গ্রেনেড,এবং যুদ্ধে ব্যবহৃত গোলাবারুদের ভান্ডার। থৈবালে অভিযান চালিয়ে ১টি কার্বাইন মেশিনগান, ১টি ৩২ এমএম পিস্তল, গ্রেনেড এবং গোলাবারুদ উদ্ধার হয়। কাকচিং জেলায় অভিযান চালিয়ে ১টি স্টেন মেশিন কার্বাইন, ১টি ৯ এমএম পিস্তল, গ্রেনেড উদ্ধার হয়। একটি পৃথক অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনী টেংনুপাল জেলার সেনাম গ্রাম থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করে। 
 
মণিপুরে আরও ৬ মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে ‘আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট’ বা আফস্পার মেয়াদ। ইম্ফল, বিষ্ণুপুর, জিরিবাম এবং লামফেল-সহ ১৯টি থানা এলাকা ছাড়া গোটা রাজ্যেই এই আইনের মেয়াদ বেড়েছে। মণিপুরে লাগাতার হিংসাত্মক কার্যকলাপ রোধ করতে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই এই মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  
 
২০২৩-এর মে মাসে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের জেরে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনা নামানো হয়।  গোটা রাজ্যে লাগু করা হয় আফস্পা। শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য পুলিশ পার্বত্য এলাকা এবং উপত্যকার বিভিন্ন জেলা জুড়ে ১১৩টি চেকপোস্ট স্থাপন করেছে।