• facebook
  • twitter
Monday, 25 November, 2024

ভয়াবহ বিস্ফোরণে আফগানিস্তানের মসজিদ মৃত্যুভূমি, নিহত অন্তত ৫০

মৃত্যুমিছিল থামার কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না আফগানিস্তানে। আমেরিকান সেনা ফিরে যাওয়ার পরও গৃহযুদ্ধে রীতিমতো বিধ্বস্ত আফগানিস্তান।

আফগানিস্তানের মসজিদ মৃত্যুভূমি, নিহত অন্তত ৫০

মৃত্যুমিছিল থামার কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না আফগানিস্তানে। আমেরিকান সেনা ফিরে যাওয়ার পরও গৃহযুদ্ধে রীতিমতো বিধ্বস্ত আফগানিস্তান। এ ধরনের পরিবেশ কাটিয়ে আফগানিস্তান আদৌ কবে নিজস্ব ছন্দে ফিরবে, তা বলতে পারছেন না বিশ্বের তাবড় তাবড় রাজনীতিবিদরা।

এমনই এক কঠিন সময়ের মধ্যে ফের ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল আফগানিস্তানের এক মসজিদ। সেদেশের উত্তর-পূর্ব কুন্দুজ প্রদেশের ওই মসজিদের বিস্ফোরণে অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এর আগে ৩ অক্টোবর কাবুলের এক মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

কয়েক দিনের মধ্যেই ফের ভয়াবহ বিস্ফোরণ কাবুলিওয়ালার দেশে। তালিবানের এক মুখপাত্র জাবিনুল্লা মুজাহিদ ওই বিস্ফোরণের কথা জানিয়ে একটি ট্যুইট করেছেন। সেই ট্যুইটে তিনি লিখেছেন, ‘আজ বিকেলে একটি মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে। যার ফলে বহু মানুষ শহিদ হয়েছেন। আহত বহু।’

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা থেকে জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের সময় শিট্টে মসজিদে শুক্রবারের নমাজ পড়ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তখনই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে মসজিদটি। চোখের সামনে মৃত্যুভূমিতে পরিণত হয় এলাকা। আহতদের দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর কাবুলের মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটেছিল। হামলার পাল্টা দিয়ে কাবুলে আইএস-এর একটি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল জেহাদিরা।

নিজের ট্যুইটারে হ্যান্ডেলে তালিবান মুখপাত্র মুজাহিদ জানিয়েছিলেন, ‘কাবুলে আমাদের সফল অভিযানের ফলে ইসলামিক স্টেটের ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে। সেখানে থাকা সমস্ত আইএস সদস্যকে খতম করা হয়েছে।’ আফগানিস্তানে তুঙ্গে পৌঁছেছে ইসলামিক স্টেট বনাম তালিবান লড়াই। কয়েকদিন আগে ইসলামিক স্টেটের খোরাসান শাখার প্রাক্তন প্রধান আবু ওমর খোরাসানিকে হত্যা করে তালিবান।

গত আগস্ট মাসে কাবুল বিমানবন্দরে ভয়াবহ আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় ইসলামিক স্টেট। এই বিস্ফোরণের পিছনেও খোরাসানের দায় রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে আফগানিস্তান ক্রমশ যেন বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে।

এদিকে দেশের আর্থিক অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আর্থিক সাহায্য বাড়িয়ে না দিলে আগামী দিনে এই দেশের অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।