• facebook
  • twitter
Monday, 6 January, 2025

গুজরাতে দুর্ঘটনায় বাবা মায়ের সামনেই মৃত্যু ৩ মাসের শিশুর 

গুজরাতে মর্মান্তিক মৃত্যু হল এক শিশুর। চলন্ত ট্রাকের চাকা খুলে গিয়ে ছিটকে পড়ে ফুটপাথে ঘুমিয়ে থাকা তিন মাসের এক শিশুর ওপর। কাছেই ছিলেন শিশুটির বাবা ও মা। তাঁদের চোখের সামনেই আকস্মিকভাবে ঘটে যায় এই দুর্ঘটনা। চাকার আঘাতে শিশুটির মৃত্যু হয়। গুজরাতের নডিয়াদ শহরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর জখম শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

প্রতীকী চিত্র

গুজরাতে মর্মান্তিক মৃত্যু হল এক শিশুর। চলন্ত ট্রাকের চাকা খুলে গিয়ে ছিটকে পড়ে ফুটপাথে ঘুমিয়ে থাকা তিন মাসের এক শিশুর ওপর। কাছেই ছিলেন শিশুটির বাবা ও মা। তাঁদের চোখের সামনেই আকস্মিকভাবে ঘটে যায় এই দুর্ঘটনা। চাকার আঘাতে শিশুটির মৃত্যু হয়। গুজরাতের নডিয়াদ শহরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর জখম শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ট্রাকচালকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ করেছে শিশুর পরিবার। অতিরিক্ত যে চাকাগুলি গাড়িতে থাকে তা সঠিক ভাবে রাখা ছিল না বলে অভিযোগ করা হয়। ট্রাকটিকে আটকানো হয়। চালকের বিরুদ্ধে অবহেলার কারণে মৃত্যুর ধারা প্রয়োগ করেছে পুলিশ। তবে শিশুর পরিবারের জন্য কোনও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।

ক্ষতিগ্রস্ত শিশুটির বাবা ও মায়ের বয়স যথাক্রমে ২০ এবং ১৯ বছর। তাঁরা একটি নির্মীয়মাণ বহুতলে দিনমজুরের কাজ করতেন। ৩ মাস বয়সের শিশুটিকে ফুটপাথে শুইয়ে রেখে কাজ করছিলেন তাঁরা। ফুটপাথের বিছানায় নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে ছিল সে।  হঠাৎই রাস্তা থেকে ছিটকে আসে ট্রাকের বিশাল চাকা। প্রবল আঘাত লাগে একরত্তি শিশুটির গায়ে। জানা গিয়েছে, চলন্ত অবস্থায় ট্রাকটিতে কোনও কারণে ঝাঁকুনি লাগে। ট্রাকের পিছনে রাখা অতিরিক্ত চাকাগুলি থেকে একটি খুলে ছিটকে বেরিয়ে এসে গড়িয়ে ফুটপাথের দিকে চলে যায়। তখন সেখানেই ছিলেন শিশুটির বাবা ও মা। তাঁরা চাকাটিকে আটকাতে ছুটে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। 

মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার পর নির্মাণ কাজের জায়গায় শিশুদের সুরক্ষার জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শিশুর পরিবার-সহ শিশু সুরক্ষা সংগঠনগুলিও এই বিষয়ে সরব হন। তাঁদের সকলেরই বক্তব্য, শিশুদের রাখার ব্যবস্থা থাকলে একটি প্রাণ বাঁচানো যেত। প্রসঙ্গত, এই বিষয়ে শিশু অধিকার সুরক্ষা সংগঠনগুলিও দীর্ঘদিন ধরেই সরব। এই ঘটনার পর শিশুদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থার রাখার দাবি আরও জোরালো হয়েছে।