বর্তমানে বাংলার রাজনীতি যাকে নিয়ে তোলপাড় তিনি হলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থর বান্ধবীর বাড়ি থেকে কোটি-কোটি টাকা ও সম্পত্তি উদ্ধারে হতবাক গোটা বাংলা।
একজন মন্ত্রী স্ক্যাম করেছেন। তবুও ভাবা যায়, কারণ তিনি যে তার পদকে ব্যবহার করেছেন।
কিন্তু তাই বলে একজন সাধারণ সরকারি কর্মচারীর বাড়ি থেকে ৮৫ লক্ষ নগদ উদ্ধার হওয়া কোন শ্রেণীতে ফেলা যায়?
এবার মধ্যপ্রদেশে এক রাজ্য সরকারি কর্মীর বাড়ি থেকে ৮৫ লক্ষ টাকার সম্পত্তি উদ্ধার হল। এর মধ্যে ৮০ লক্ষ টাকা নগদ। বাকিটা সোনা ও রুপোর গয়না।
বুধবার মধ্যপ্রদেশ সরকারের ইকোনমিক অফেন্সেস উইং-এর আধিকারিকরা একটি তদন্ত অভিযানে এই নগদ উদ্ধার করেন।
এদিকে বাড়িতে রেড চলাকালীন বাংলার নেতাদের পথ অনুসরণ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিযুক্ত সরকারি কর্মী।
তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিপুল পরিমাণ নগদ উদ্ধার হয়েছে হিরো কেশওয়ানির নামের সেই কর্মীর বাড়ি থেকে।
হিরো রাজ্যের চিকিৎসা শিক্ষা বিভাগের করণিক। একটি বেআইনি সম্পত্তির মামলার তদন্ত করছিল ইওডব্লিউ।
সেই সূত্রেই ভোপালের বাইরাঘর এলাকায় হিরোর বাড়িতে হানা দেন ইওডব্লিউ-র তদন্তকারী প্রতিনিধি দল।
হিরো কেশওয়ানি চার হাজার টাকা বেতনে রাজ্য সরকারি কর্মী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। বর্তমানে প্রতি মাসে বেতন পান ৫০ হাজার টাকা।
ক্লার্কের পদে কাজ করা একজন রাজ্য সরকারি কর্মীর বাড়িতে কোথা থেকে এত টাকা এল। গোটা বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে মধ্যপ্রদেশ সরকারের ইকোনমিক অফেন্সেস উইং।
তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ৮০ লক্ষ টাকা নগদ, ৫ লক্ষ টাকার সোনা-রুপোর গয়না ছাড়াও ৩৯০০ বর্গফুটের একটি প্লাট এবং একটি প্রাসাদোপম বাড়ির খোঁজ পেয়েছে তদন্তকারী দল।
এছাড়াও মিলেছে দু’টি এসইউভি গাড়ি, একটি স্কুটার। অভিযুক্তের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৬ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা।