মল্লিকার্জুনের জামাইয়ের বিরুদ্ধে ৮০০ কোটির দুর্নীতির অভিযোগ

বেঙ্গালুরু, ৭ মে – দুই অঙ্কের নয়, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের জামাইয়ের বিরুদ্ধে তিন অঙ্কের দুর্নীতির অভিযোগ। ৮০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠল খাড়গের জামাই তথা কর্নাটকের কলাবুরাগি কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী রাধাকৃষ্ণ ডোড্ডামানি এবং আরও পাঁচজনের বিরুদ্ধে। সিবিআই এবং কর্নাটক লোকায়ুক্ত-এ একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বিজেপির বেঙ্গালুরু দক্ষিণ জেলার সভাপতি এনআর রমেশ। ডঃ বি আর আম্বেদকর মেডিক্যাল কলেজ এবং বি আর ডেন্টাল কলেজের পরিচালন কমিটির প্রধান ডোড্ডামানি। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, প্রতারণা, ভুয়ো নথি তৈরি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে।

রমেশের অভিযোগ, আনুমানিক ৮০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে ডাক্তারি ও ডেন্টাল কোর্সে ভর্তি করতে। তাঁর অভিযোগ, কলেজের কর্মী সংগঠন, সমাজকর্মী এবং প্রশাসনিক কমিটির তরফে রাজ্যপালের দফতর, রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে অভিযোগ জমা দিলেও কোনও লাভ হয়নি।  ২০০৮-০৯ সাল থেকে কয়েক হাজার অনৈতিক কাজ প্রকাশ্যে এসেছে। ম্যানেজমেন্ট কোটার অপব্যবহার করে খাড়গের জামাইয়ের নেতৃত্বে এইসব অপকর্ম চলেছে বলে তাঁর দাবি।

এনআর রমেশের অভিযোগ, ডোড্ডামানি এবং অন্যান্যরা ধনী পরিবারের অযোগ্য ছাত্রদের ভর্তি করে নেওয়ার জন্য অনৈতিকভাবে টাকা তুলেছেন। এর জন্য তাঁরা ভুয়ো নথি তৈরি করেছেন। এমবিবিএস এবং বিডিএস কোর্সে ভর্তি করে দিয়ে তাঁরা কয়েকশো কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ।


একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মীকে জনসংযোগ অফিসারের পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সমস্ত নিয়মবিধি অগ্রাহ্য করে অনুত্তীর্ণ ছাত্রদের এই দুই কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। দ্বাদশ অনুত্তীর্ণ এইসব পড়ুয়াদের জন্য ঝাড়খণ্ড এবং অন্যান্য রাজ্য থেকে ভুয়ো সার্টিফিকেট তৈরি করে ভর্তি করা হয়েছে বলে  অভিযোগ রমেশের । বিজেপি নেতা অভিযোগে লিখেছেন, মল্লিকার্জুন খাড়গের জামাই রাধাকৃষ্ণ এমবিবিএস পাশ করতে ৯ বছর সময় নিয়েছিলেন। ১৮ বার পরীক্ষা দিয়েছিলেন তিনি। তাঁকে অধ্যাপক-ডাক্তার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তাঁর এমডি ডিগ্রি নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিজেপি নেতা।

তাঁর  আরও অভিযোগ , এক-এক জন ছাত্রের কাছ থেকে ১ থেকে ২ কোটি টাকা করে নিয়েছেন খাড়গের জামাই। পরিচালন সমিতি ইন্টারনাল পরীক্ষায় ১০০ শতাংশ নম্বর দিতে লাখ করে টাকা নিত। একে প্রতারণা বলেছেন উল্লেখ করেছেন তিনি। রমেশের অভিযোগ, গত ১৫ বছর ধরে এই দুর্নীতি চলছে।