অসমের গুয়াহাটিতে একটি মন্দির চত্বরে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অসমে দুর্গামন্দিরের ভিতরে কিশোরীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় আরও এক অভিযুক্তকে খুঁজছে পুলিশ। পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখে পদক্ষেপ করা হয়েছে। গড়চুক এলাকায় এই ঘটনার একটি ভিডিও স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর পুলিশ গণধর্ষণের ঘটনা জানতে পেরে অভিযান চালায়। শুক্রবার ৭ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গ্রেপ্তার করা হয় আরও ১ অভিযুক্তকে। গুয়াহাটির পুলিশ কমিশনার দিগন্ত বারাহ জানিয়েছেন, গণধর্ষণের ভিডিওটি এক সাংবাদিকের কাছ থেকে পাওয়া যায়। এখনও কিশোরীর খোঁজ মেলেনি।
গুয়াহাটির পুলিশ কমিশনার দিগন্ত বারাহ বলেছেন যে শুক্রবার গড়চুক পুলিশ স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক স্থানীয় সংবাদ চ্যানেলের এক সাংবাদিকের কাছ থেকে বোরগাঁও এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও সম্পর্কে তথ্য জানতে পারেন ।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান রাস পূর্ণিমার সময় এমন ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি সামনে আসে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর।সেই তথ্যের ভিত্তিতে এবং ফুটেজ বিশ্লেষণের পরে, অফিসার-ইন-চার্জ ইন্সপেক্টর ময়ূরজিৎ গগৈ এবং এসআই কাজল দত্ত তাঁদের দল নিয়ে গড়চুক এবং জলুকবাড়ী পুলিশ স্টেশনের এক্তিয়ারের মধ্যে একাধিক জায়গায় অভিযান শুরু করেন। ফলস্বরূপ, ভিডিওতে চিহ্নিত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়। ঘটনার সময়ে অভিযুক্তেরা সকলে মত্ত অবস্থায় ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এই ঘটনায় পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে। গুয়াহাটি পশ্চিমের ডিসিপি পদ্মনাভ বড়ুয়া জানান, ধর্ষিতা কিশোরীর খোঁজ এখনও মেলেনি। তবে তাঁকে সপ্তাহখানেক আগে প্রকাশ্যে দেখা যায় বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। এখনও ১ অভিযুক্ত পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।ভাইরাল ভিডিওটি সমাজমাধ্যমে যাতে আর না ছড়ায় সেই অনুরোধ করেছেন ডিসিপি। ভিডিওটি শেয়ার করা হলে পুলিশ পদক্ষেপ করবে বলেও জানান তিনি।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর অসমে বিজেপি শাসিত সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল ঘটনার নিন্দা করেছে।