কেরল ১৭ আগস্ট — অভিযুক্ত চন্দ্রণ পেশায় একজন লেখক।অভিযুক্ত বৃদ্ধকে মুক্তি দিল কেরল হাইকোর্ট তিনি সমাজকর্মীও বটে। সেই সঙ্গে আঙুল তোলা হল অভিযোগকারী তরুণীর পোশাকের দিকেও। ২০২০ সালে তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন এক তরুণী। তিনিও লেখালেখি করেন। অভিযোগ ছিল, একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে ওই তরুণীকে ফাঁকা জায়গায় ডেকে নেন চন্দ্রণ। তারপর সেখানে তাঁর সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করেন। বৃদ্ধ তরুণীর স্তনে হাত দিয়েছেন বলেও জানান অভিযোগকারী।
কেরল হাইকোর্টে মামলার বিচার চলছিল। বুধবার রায় দেন বিচারপতি। আদালতে জামিনের আবেদনের সঙ্গে ওই তরুণীর কিছু ছবিও পেশ করেন অভিযুক্ত। সেখানে দেখা যায় ছোটখাটো খোলামেলা পোশাক পরে আছেন তরুণী। এরপরই হাইকোর্ট অভিযুক্তকে মুক্তি দেয়।
এই মামলায় উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ। ৭৪ বছর বয়সি একজন বৃদ্ধ, যিনি শারীরিকভাবে পুরোপুরি সক্ষম নন, তিনি তরুণীর শ্লীলতাহানি করতে পারেন না। উপরন্তু ওই তরুণী শরীর দেখানো, যৌন উত্তেজক পোশাক পরেছিলেন। তাই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪এ ধারা এক্ষেত্রে বলবৎ হয় না।
আদালত এও বলে, তর্কের খাতিরে মেনেও নেওয়া যায় যে ওইদিন কিছু শারীরিক সংস্পর্শ হয়েছিল। কিন্তু তাতে এটা কিছুতেই বিশ্বাস করা যায় না যে একজন শারীরিকভাবে অক্ষম ৭৪ বছর বয়সি মানুষ তরুণীর সঙ্গে জোর করে কিছু করবেন।
অভিযুক্তের পক্ষের আইনজীবী আদালতে বলেন, পুরো বিষয়টাই সাজানো। তাঁর মক্কেলকে এই বুড়ো বয়সে হেনস্থা করার জন্যেই এই গল্প সাজানো হয়েছে।
————–