মণিপুরে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের ৭ সদস্য গ্রেপ্তার, বাজেয়াপ্ত বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র 

মণিপুরে হিংসা রুখতে বড়সড় অভিযান চালাল পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী।  গত ২৪ ঘন্টায় উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য থেকে ৩ টি নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর মোট সাত জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে ৬ জন ২ টি সশস্ত্র নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর সদস্য। সপ্তম জন মেইতেই সশস্ত্র গোষ্ঠী আরামবাই টেঙ্গোলের সদস্য। ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা ছাড়াও মণিপুরের একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র  উদ্ধার করা হয়।

মণিপুরের থৌবাল এবং বিষ্ণুপুর জেলায় ২ টি পৃথক অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তার করা হয় সাত জনকে। তাঁদের বিরুদ্ধে অপহরণ, তোলাবাজি ছাড়াও একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। থৌবালের চারংপাত মায়াই লেইকাই থেকে কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টির ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্রের পাশাপাশি তাঁদের কাছ থেকে পাঁচটি মোবাইল ফোন, ১৩টি সিমকার্ড এবং একটি চার চাকার গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। বিষ্ণুপুর জেলার কুম্বি থেকে একই দিনে  পিআরইপিএকে নামে আর একটি নিষিদ্ধ সংগঠনের আরও এক সদস্য এবং আরামবাই টেঙ্গোল নামে সশস্ত্র মেইতেই গোষ্ঠীর এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  পাশাপাশি, সোমবার মণিপুরের বিভিন্ন জেলা থেকে একাধিক স্নাইপার রাইফেল, দু’টি বোল্ট অ্যাকশন রাইফেল, একটি ৯ এমএম পিস্তল, বেশ কয়েকটি গ্রেনেড-সহ বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।

সম্প্রতি  মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ নতুন করে উত্তপ্ত করে তুলেছে মণিপুরকে। গত সেপ্টেম্বর মাস থেকেই দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে মণিপুরের বিভিন্ন এলাকায়। তল্লাশি অভিযান চালিয়ে প্রচুর গোলাবারুদ ও আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীর যৌথ দল। এই পরিস্থিতিতে অক্টোবরের  শুরু থেকেই  মণিপুরে আরও ৬ মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে ‘সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন’-এর মেয়াদ। ইম্ফল, বিষ্ণুপুর, জিরিবাম এবং লামফেল-সহ ১৯টি থানা এলাকা ছাড়া গোটা রাজ্যেই এই আইনের মেয়াদ  বাড়ানো হয়েছে।