ছত্তিশগড়ে সাত ঘন্টার অভিযানে নিহত ৭ মাওবাদী

ফাইল চিত্র

২০২৬-এর মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদ মুক্ত করার ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। চলছে একের পর এক জোরদার অভিযান। তারই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার ছত্তীসগঢ়ের বস্তার অঞ্চলের অবুঝমাঢ়ে টানা সাত ঘন্টা অভিযান চালিয়ে সাতজন মাওবাদীকে খতম করেছে পুলিশ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই বৃহস্পতিবার সকালে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে তিনি অবুঝমাঢ়ে পুলিশ এবং মাওবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষের খবর জানান। যদিও তখনও এনকাউন্টার অব্যাহত ছিল বলে জানা গিয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, অবুঝমাঢ়ের জঙ্গলে মাওবাদীদের লুকিয়ে থাকার তথ্য গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছিল । সেইমতো বৃহস্পতিবার ভোরে ওই জঙ্গলে অভিযান শুরু করে রাজ্যের পুলিশ ফোর্স। ভোর ৩টে থেকে এনকাউন্টার শুরু হয়। এই বিশেষ অভিযানে পুলিশের বিশেষ বাহিনীতে ছিল ডিসট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি), স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ), সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ)।

পুলিশের তরফে জানানো হয়, সকাল ১০টার মধ্যেই সাতজন মাওবাদীকে নিকেশ করা হয়েছে। তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধারের পর জানা যায়, ওই সশস্ত্র মাওবাদীরা গেরিলা বাহিনী (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র পোশাক পরেছিল। এই সাফল্যের পর মুখ্যমন্ত্রী এই কৃতিত্ব তাঁর নেতৃত্বে পরিচালিত বিজেপি সরকারকে দিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, বিজেপি রাজ্যে সবে এক বছর হল ক্ষমতায় এসেছে। যা ভাল কাজ, সব এই সময়েই হয়েছে।


প্রসঙ্গত অবুঝমাঢ়ে মাওবাদীদের ধরতে বেশ কয়েকটি অভিযান চালায় ছত্তিশগড় পুলিশ। যার নাম ‘মাঢ় বাঁচাও অভিযান’। এই অভিযানে ইতিমধ্যে প্রায় ১০০ জন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। শুধুমাত্র গত অক্টোবর মাসেই দক্ষিণ অবুঝমাঢ়ের একটি অভিযানে ৩১ জন মাওবাদী নিহত হয়েছিল। সেসময় ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

উল্লেখ্য, দেশে মাওবাদকে নির্মূল করতে কড়া পদক্ষেপ শুরু করেছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। গত জানুয়ারি মাস থেকে এ পর্যন্ত মোট ২৫৭ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। ৮৬১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরও ৭৮৯ জন আত্মসমর্পণ করেছেন। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তাতে বলা হয়েছে, ‘আমি বিশ্বাস করি, লড়াই এখন শেষ পর্যায়ে। চূড়ান্ত হামলার সময় এসেছে।