• facebook
  • twitter
Monday, 16 September, 2024

বিহারের সিদ্ধেশ্বর মন্দিরে ভিড়ে পদপিষ্ট হয়ে ৭ জন পুণ্যার্থীর মৃত্যু, মৃতদের মধ্যে ৫ জন মহিলা

পাটনা, ১২ আগস্ট – উত্তরপ্রদেশের হাথরসের পর এবার বিহারের জেহানাবাদ। পুণ্যলাভের আশায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পুনরা‍বৃত্তি। শ্রাবণ মাসের চতুর্থ সোমবার মহাদেবের জলাভিষেকের জন্য বিহারের সিদ্ধেশ্বরনাথ মন্দিরে জড়ো হয়েছিলেন পুণ্যার্থীরা। সেখানেই ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হয়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ৫ জন মহিলা। আহত আরও ৩৫ জন। তাঁদের নিকটবর্তী হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।   শিবের মাথায় জল

পাটনা, ১২ আগস্ট উত্তরপ্রদেশের হাথরসের পর এবার বিহারের জেহানাবাদ। পুণ্যলাভের আশায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পুনরা‍বৃত্তি। শ্রাবণ মাসের চতুর্থ সোমবার মহাদেবের জলাভিষেকের জন্য বিহারের সিদ্ধেশ্বরনাথ মন্দিরে জড়ো হয়েছিলেন পুণ্যার্থীরা। সেখানেই ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হয়েজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ৫ জন মহিলা। আহত আরও ৩৫ জন। তাঁদের নিকটবর্তী হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
 
শিবের মাথায় জল ঢালতে গিয়ে পড়শি রাজ্য বিহারের জেহানাবাদ জেলায় ভানাভার পাহাড়ে অবস্থিত সিদ্ধেশ্বর মন্দিরে ভিড়ের জেরে পদপিষ্ট হয়েজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি সংলগ্ন বাগডোগরার মুনি চা বাগান সংলগ্ন হাওদিজোত এলাকায়। শিবের মাথায় জল ঢালতে মন্দিরের বাইরে ভক্তদের বিশাল ভিড় ছিল। তাঁদের অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছিলেন। প্রশাসনের দাবি, সারাদিন সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে মানুষ শিবের মাথায় জল ঢালেন। সন্ধ্যার পর লাইনে দাঁড়ানো ভক্তরা অধৈর্য হয়ে পড়েন এ‍বং হুড়োহুড়ি শুরু করে দেন। তখনই ভক্তদের মধ্যে কয়েকজন পড়ে যান। পদপিষ্ট হয়ে সাতজনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে একজন সিভিক ভলান্টিয়ারও রয়েছেন। মৃতদের বয়স ২০ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে। এঁদের মধ্যে এক জন সিকিমের বাসিন্দা। তার পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটে পরি‍বার রাতে
 

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান জেহানাবাদের স্টেশন ইনচার্জ দিবাকর কুমার বিশ্বকর্মা। পুলিশ সুপারজেলাশাসকও ঘটনাস্থলে পৌঁছন। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দিবাকর বিশ্বকর্মা জানিয়েছেন, মৃতজনের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

মধ্য বিহারের এই মন্দিরটিতে প্রতি বছর শ্রাবণ মাসে শিবের মাথায় জল ঢালতে প্রচুর মানুষ ভিড় করে থাকেন। প্রশাসনের দাবি, উত্তর প্রদেশের হাথরসের ঘটনার প্রেক্ষিতে এবার সিদ্ধেশ্বর মন্দিরে ভিড় নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। তা সত্ত্বেও পরিস্থিতি শেষ মুহূর্তে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। অনেক মানুষের বাড়ি ফেরা, ট্রেন, বাস ধরার তাড়া ছিল। তারা লাইন ভেঙে জল ঢালার চেষ্টা করতেই হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়।
 
অন্যদিকে এই দুর্ঘটনার জন্য কর্তৃপক্ষের ‍বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন ভক্তরা। তাঁদের অভিযোগ, এখানে ভিড় নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে ছিলেন এনসিসি সদস্যরা। ভিড় সামালাতে ভক্তদের উপর লাঠি চালায় তাঁরা। ফলে মন্দির চত্বরে হুড়হুড়ি পড়ে যায় এ‍বং যার পরিণতি এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। এক ভক্ত বলেন, লাঠির ঘা থেকে বাঁচতেই মানুষজন ছোটাছুটি শুরু করে। এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী পুলিশ প্রশাসন। এসডিও বিকাশ কুমার অবশ্য লাঠি চার্জের জেরে এই ঘটনা বলে মানতে নারাজ। তাঁর দাবি এটা নিছকই দুর্ঘটনা। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
 
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান জেহানাবাদের স্টেশন ইনচার্জ দিবাকর কুমার বিশ্বকর্মা। পুলিশ সুপারজেলাশাসকও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দিবাকর বিশ্বকর্মা বলেন, মৃতজনের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
 
প্রসঙ্গত, গত ১ শ্রাবণ হাথরসে এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপৃষ্ট হয়ে ১২১ জনের মৃত্যু হয়।