শিশুদের মধ্যে ৬৯.২% ভুগছে ওমিক্রনে

হু হু করে বাড়ছে কোভিড। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের দাবি, বঙ্গে আক্রান্ত খুদেদের মধ্যে ৬৯.২ শতাংশই করোনার নয়া স্ট্রেন ওমিক্রনে ভুগছে।

রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের তথ্যানুযায়ী অভিভাবকদের দুশ্চিন্তার ভাঁজ যে আরও চওড়া হচ্ছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। সর্দি, কাশি, হালকা জ্বর প্রায় ঘরে ঘরে এমন উপসর্গের সদস্যের সংখ্যা নেহাত কম নয়।

টেস্ট করালেও বহু ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে রিপোর্ট নেগেটিভ। তা সত্ত্বেও উপসর্গ সবই করোনা রোগীর মতোই। তাই তাঁদের রিপোর্টের উপরেই ভরসা রেখে কাজেকর্মে বেরতেও হচ্ছে বাইরে।


শুধু বড়দের নয়, কখনও কখনও দেখা যাচ্ছে বাড়ির খুদে সদস্যও একই উপসর্গে ভুগছে। জ্বর, সর্দি, কাশিতেও জেরবার পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য।

চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পর সাধারণ ওষুধে বহু ক্ষেত্রেই জ্বর সেরে যাচ্ছে। আবার কারও কারও শরীরে মিলছে করোনা ভাইরাসের খোঁজও।

এই পরিস্থিতিতে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের দাবি, বাংলায় ভাইরাস আক্রান্ত খুদেদের মধ্যে ৬৯.২ শতাংশই করোনার নয়া স্ট্রেন ওমিক্রনে ভুগছে।

এই দাবি কানে আসার পর অভিভাবকদের চিন্তার ভাঁজ যে চওড়া হচ্ছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই । তবে চিকিৎসকদের মতে, করোনার নয়া স্ট্রেন ওমিক্রনের সংক্রমণ ক্ষমতা অনেকটাই বেশি।

সে কারণে হু হু করে তা ছড়াচ্ছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ। তবে এর মারণক্ষমতা অনেক কম। তাই অতিরিক্ত আতঙ্কের কোনও কারণ নেই।

তবে সাবধানতা অবলম্বন করতেই হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাড়ির বাইরে এই সময় শিশুদের ভুলেও বাইরে বের করবেন না।

বাইরে থেকে এসে আগে জামাকাপড় ছেড়ে ফেলুন। পা ধুয়ে নিন। প্রয়োজনে স্নান করুন। তারপর বাড়ির খুদে সদস্যের কাছাকাছি যান। তারপরও সংক্রমণের আশঙ্কা যে একেবারেই থাকবে না, তা নয়।

সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মতে, অযথা আতঙ্কিত না হয়ে আপনার ছোট্ট সন্তানের দিকে বিশেষ নজর দিন। জ্বর, সর্দি, কাশি ছাড়া অন্য কোনও উপসর্গ দেখতে পাচ্ছেন কিনা খেয়াল রাখুন।

শিশুর খিচুনি কিংবা শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রয়োজনে পরিবারের খুদে সদস্যকে হাসপাতালে ভরতি করতেও দেরি করবেন না।