সেলুলয়েডের পর্দায় এমন ছবি চোখে পড়ে। আস্ত এটিএম কন্টেনার ট্রাকে তুলে পালানোর ছক কষেছিল দুষ্কৃতীরা। কিন্তু এটিএম লুটের অভিনব পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত ভেস্তে গেল। কেরলের এই এটিএম লুটের ঘটনায় পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক অভিযুক্তের। জানা গেছে, লুট করা নগদ টাকা ও অস্ত্রশস্ত্রসমেত কন্টেনার বোঝাই ট্রাকটি না থামায় গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ। গুলিতে মৃত্যু হয় ১ দুষ্কৃতীর। আরও এক দুষ্কৃতী আহত হয়। ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর নামাক্কল জেলার কোমরাপালায়ম শহরে।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার সন্দেহভাজন একটি কন্টেনার ট্রাক অন্য একটি গাড়িকে ধাক্কা দেওয়ার পরে পুলিশ ট্রাকটিকে ধাওয়া করতে শুরু করে। পুলিশ গাড়িটিকে থামানোর চেষ্টা করলেও গাড়ি থামায়নি দুষ্কৃতীরা। পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে দুষ্কৃতীরা।এই ঘটনায় দুই জন পুলিশ আধিকারিক জখম হন। এরপরই পাল্টা গুলি চালায় পুলিশ।এনকাউন্টারে এক দুষ্কৃতীর মৃত্যু হয়েছে হয়েছে বলে জানা গেছে। উভয় পক্ষের সংঘর্ষের পর ৬ দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তামিলনাড়ু পুলিশ সূত্রে খবর, দুষ্কৃতীরা সকলেই হরিয়ানার বাসিন্দা। একাধিক চুরির ঘটনার সঙ্গে তারা আগেও যুক্ত ছিল। এই দলটি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তিনটি এটিএম লুট করে পালানোর ছক করে। কেরলের ত্রিশুরে ৬৫ লক্ষ টাকার বেশি লুট করে বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
শুক্রবার ভোররাতে কেরলের ত্রিশুর জেলার তিনটি এটিএমকে টার্গেট করে এই দল। ত্রিশুরের পুলিশ কমিশনার আর এলাঙ্গর বলেন, ‘ঘটনাটি ঘটে রাত ২ টো থেকে ৪ টের মধ্যে।তারা এটিএমগুলির সিসিটিভি ক্যামেরাও নষ্ট করে। এমনকি গ্যাস কাটার ব্যবহার করে এটিএম মেশিনগুলোকেও কাটে।’ পুলিশ একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে কন্টেনারের ভিতরে একটি গাড়ি ও একটি এটিএম রয়েছে।