• facebook
  • twitter
Friday, 27 December, 2024

২০২৪ লোকসভায় ৬৪ কোটি ৬৪ লক্ষ ভোটগ্রহণ হয়েছে: নির্বাচন কমিশন

নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুসারে, দেশের ১১টি সংসদীয় কেন্দ্রে ৫০ শতাংশের নিচে ভোট পড়েছে। এছাড়া ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে ২০১৯ সালের তুলনায় 'নোটা'য় কিছুটা কম ভোট পড়েছে।

প্রতীকী চিত্র

অবশেষে ২০২৪ লোকসভা ভোটের প্রায় সাত মাস পর সামনে এলো মোট ভোটদাতার হিসাব। ভারতের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এবার মোট ৬৪ কোটি ৬৪ লক্ষ ভোটার ভোটপ্রদানে অংশগ্রহণ করেছিল। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে এই সংখ্যা ছিল ৬১ কোটি ৪ লক্ষ।

এবারের লোকসভা ভোটের পোল প্যানেল দ্বারা প্রকাশিত চূড়ান্ত তথ্য অনুযায়ী, ইভিএম-এ মোট ৬৪ কোটি ২১ লক্ষ এবং পোস্টাল ব্যালটে ৪২ লক্ষ ৮১ হাজার ভোটগ্রহণ করা সম্ভব হয়েছে। অসমের ধুবড়ি লোকসভা আসনে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে। এই কেন্দ্রে মোট ৯২.৩ শতাংশ ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। আর জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগর লোকসভা কেন্দ্রে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে। এখানে ৩৮.৭ শতাংশ ভোটার মতদানে অংশগ্রহণ করেন।

নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুসারে, দেশের ১১টি সংসদীয় কেন্দ্রে ৫০ শতাংশের নিচে ভোট পড়েছে। এছাড়া ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে ২০১৯ সালের তুলনায় ‘নোটা’য় কিছুটা কম ভোট পড়েছে। এবারে ‘নোটা’য় মোট ভোটদাতার সংখ্যা ৬৩ লক্ষ। অর্থাৎ মোট ভোটারের ০.৯৯ শতাংশ। ২০১৯ সালে এই সংখ্যা ছিল ১.০৬ শতাংশ। আবার গতবারের তুলনায় তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যাও বেড়েছে ২৭ শতাংশ।

এবারের লোকসভা ভোটে শুধু ভোটদাতার সংখ্যা বেড়েছে তা নয়, সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সংখ্যাও। ২০১৯ সালে মোট মনোনয়ন জমা পড়েছিল ১১ হাজার ৬৯২টি। এবার সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১২ হাজার ৪৫৯টি। এই বিপুল সংখ্যক প্রার্থীর নথি যাঁচাই করে অযোগ্যদের প্রত্যাখ্যান এবং অনেকের প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের পর মোট ৮ হাজার ৩৬০জন যোগ্য প্রার্থী লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পান। ২০১৯ সালে এই যোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৫৪ জন।

এদিকে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে তেলেঙ্গানার মালকাজগিরি লোকসভা আসনে। এই কেন্দ্রে মোট ১১৪জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। অন্যদিকে অসমের ডিব্রুগড় লোকসভা কেন্দ্রে দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম মনোনয়ন জমা পড়ে। এখানে মাত্র তিনজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এবারের নির্বাচনে ৭ হাজার ১৯০ জন প্রার্থীর জামানত জব্দ হয়। তুলনায় ২০১৯ সালের ভোটে জামানত জব্দ হয়েছিল ৬ হাজার ৯২৩জন প্রার্থীর।

ভারতের নির্বাচন কমিশন দেশের জনগণের সামনে সার্বিক স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য সম্প্রতি এই তথ্য প্রকাশ করেছে।