যোগী রাজ্যে ৪০ মাসে ৬,২০০ এনকাউন্টার

প্রতীকী ছবি (File Photo: iStock)

‘দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন’। এই নীতি নিয়ে উত্তরপ্রদেশের সরকার চলছে? নাকি সুশাসন দেওয়ার নাম করে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য ‘এনকাউন্টার’-রাজ্যে পরিণত হয়েছে। এই নিয়ে জোরদার বিতর্ক শুরু হয়েছে দেশজুড়ে। কারণ, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সময়কালে এখনও পর্যন্ত মোট ৬,২০০ টি এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটেছে। আর তাতে মৃত্যু হয়েছে ১২৪ জনের।

৪০ মাসের মধ্যে ১২৪ জনের মৃত্যু নিয়ে রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশে। সরকারি হিসেবে এই পরিসংখ্যানকে সুশাসনের লক্ষণ বলেই তুলে ধরছে বিজেপি। তথ্য বলছে, ৬,২০০ টি এনকাউন্টারে ১৪ হাজারের বেশি অপরাধী গ্রেফতার হয়েছে। ২,৩০০ অপরাধী ও ৯০০ পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন।

১২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এনকাউন্টারে, এই পরিসংখ্যান রীতিমত চমকে দেওয়ার মতো। এই ১২৪ জনের মধ্যে জাতিগত ভিত্তিতে মুসলিম ছিলেন ৪৭ জন, ব্রাহ্মণ ছিলেন ১ জন, যাদব সম্প্রদায়ের ৮ জন, আর বাকি ৫৮ জনই ঠাকুর ও দলিত সম্প্রদায়ের।


সিংহভাগ এনকাউন্টার হয়েছে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে। মেরঠে মারা গিয়েছে ১৪ জন, মুজাফফরনগরে ১১ জন, সাহারানপুরে ৯ জন, পূর্ব আজমগড়ে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। সংখ্যালঘুদের উত্তরপ্রদেশে বেছে বেছে এনকাউন্টার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে আদালতেও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে।

এনকাউন্টারগুলিতে ১৩ জন পুলিশকর্মীরও মৃত্যু হয়েছে। এই ‘এনকাউন্টার’ রীতি চালু হওয়ার সময় ১২ হাজার দুষ্কৃতী জামিন নিতে অস্বীকার করেছিলেন। তারপর অবশ্য অনেকে সরাসরি আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।

বিকাশ দুবের এনকাউন্টারের সময় উত্তরপ্রদেশে এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) প্রশান্ত কুমার বলেছিলেন, “দুষ্কৃতী দমনে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে চলেছি আমরা। কাউকে ছাড়া হবে না।” মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর যোগী আদিত্যনাথ পুলিশকে স্বাধীনতা দেন। প্রকাশ্যে তিনি জানিয়েছিলেন, অপরাধীদের মোকাবিলায় পুলিশকে ফ্রি-হ্যান্ড দেওয়া হচ্ছে। সেই ট্র্যাডিশনেরই ফসল এনকাউন্টার রাজ।