লাগাতার বৃষ্টির কারণে শােচনীয় অবস্থা অসমের । প্রবল বৃষ্টির কারণে বন্যায় মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। রাজ্যের ২৭টি জেলার মধ্যে ২১টি জেলা জলের তলায়। উত্তর – পূর্বের ওই রাজ্যের ৮ লক্ষের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বন্যায়।
প্রবল বৃষ্টিতে ব্রহ্মপুত্রের জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে । এলাকার প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানিয়েছেন , ইতিমধ্যে ৬ জনের মৃত্যু , হয়েছে। আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে রাজ্যের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে । সপ্তাহের শেষের দিকে বৃষ্টির হার বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।
দুর্যোগের কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ রেখেছে প্রশাসন। রাজ্য সরকার সুত্রে খবর , ২৭ হাজারের বেশি কৃষিজমি জলের তলায় রয়েছে। রাজ্যজুড়ে ৬৮টি ত্রাণ শিবির ও ৭ হাজারের বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
প্রশাসন সূত্রে খবর, অসমের ধেমাজি , লখিমপুর , বনগাইগাঁও ও বাড়পেতা জেলা বন্যার কারণে ব্যপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। উঁচু অঞ্চলের জল নীচু অঞ্চলে নেমে এসে আরও ভাসিয়ে দিয়েছে। এলাকার পর এলাকা ভেসে গেছে। বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে।
অসমের ১৭টি জেলার মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বাড়পেটার। এখানে বসবাসকারী প্রায় ৮৫ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে অসমের বিপর্যয় মােকাবিলা দফতর।
অসমের বৃহত্তম কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানে বন্যার জল ঢুকে পশুপাখিদের অবস্থাও শােচনীয়। তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে উদ্যান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। বন্যা কবলিত এলাকার জেলা শাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সােনওয়াল। তিনি জেলা প্রশাসকদের কন্ট্রোলরুমের সঙ্গে যােগাযােগ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের সঙ্গে দ্রুত যােগাযােগ করা যায়।
বন্যার জন্য রাজ্যে এনসেফেলাইটিস রােগের প্রাদুর্ভাব হতে পারে আশঙ্কা রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের। সমস্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে অসম সরকার।