সংখ্যাটা ক্রমশ বাড়ছে। সোধ্যর সকাল পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। ফলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৫৬২।
যারা এদিন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন তারা মহারাষ্ট্র, গুজরাত, রাজস্থান ও বিহারের বাসিন্দা। মহারাষ্ট্র ও কেরলে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এই দুই রাজ্যে ৬৭ জন সংক্রামিত হয়েছেন দেশি-বিদেশি মিলিয়ে।
রবিবার পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ছিল ৭। এদিন কলকাতায় করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু হওয়ায় সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় ৮-এ। পরে অবশ্য জানা যায়, হিমাচলে এক তিব্বতি শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আরও একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয় ১০। এই তিব্বতি শরণার্থী ১৫ মার্চ আমেরিকা থেকে ফেরেন। হিমাচলে তান্ডারে ভর্তি ছিলেন তিনি।
তবে, এর মধ্যে আশার খবর সংক্রমিত হওয়া ২৪ জন ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে লকডাউন ও শাটডাউনের মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। ইউরোপের দেশগুলির মতো যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, রাজস্থান, বিহার আংশিক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গোটা পাঞ্জাব জুড়ে কার্ফু জারি করা হয়েছে।
দেশের ২২’টি রাজের ৭৫’টি জেলায় ৩১ মার্চ পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। দিল্লি, কেরল, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশে এমনই জেলার সংখ্যা বেশি। তালিকায় রয়েছে অরুণাচল প্রদেশ। আহমেদাবাদ, মুম্বই, গুরগাঁও, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, হায়দরাবাদ ও কলকাতার মতো শহরগুলিকে লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের পুর শহরগুলিকে সোমবার বিকেল ৫’টা থেকে লকডাউন করা হয়েছে। একদিনে নতুন করে ১৬৬’জন আক্রান্ত হয়েছে দেশজুড়ে। বিশ্বজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যে ৩ লক্ষ ৪৩ হজারে পৌঁছেছে। মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে সাড়ে ১৪ হাজার। সংক্রমণ ছড়িয়েছে ১৬৭’টি দেশে। ১৮ হাজার মানুষ করোনার থাবা থেকে সুস্থ হয়ে গিয়েছে।
চিন সংক্রমণের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা সেখানে প্রায় ৮২ হাজার। পরেই রয়েছে ইতালি। সেখানে সংক্রমণের সংখ্যাটা ৫৯ হাজার। মৃত্যু মিছিলে সব দেশকে ছাড়িয়ে গিয়েছে ইতালি। ৫ হাজার মানুষের মৃত্যু %