ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে খতম ৫ মাওবাদী

মাওবাদী দমনে বড়সড় সাফল্য পেল ছত্তিশগড় পুলিশ। শনিবার সকালে ছত্তিশগড়ের আবুজমারহ জঙ্গলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে পাঁচ মাওবাদী নিহত হয়েছে। এই অঞ্চলটি ছত্তিশগড়ের বস্তার বিভাগের কাঙ্কের-নারায়ণপুর জেলার সীমানায় অবস্থিত। সংঘর্ষস্থল থেকে পাঁচটি স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।

মাওবাদী হামলায় আহত হয়েছেন দুই ডিআরজি কর্মী। আহতদের বর্তমানে রায়পুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে। বস্তার রেঞ্জ পুলিশের আইজি পি সুন্দররাজ জানিয়েছেন, জঙ্গলে এনকাউন্টার চলছে এবং অল্প সময়ের ব্যবধানে প্রচুর গুলি চলছে।

আইজি পি সুন্দররাজ বলেন, জেলা রিজার্ভ গার্ডস, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এবং সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর একটি সম্মিলিত দল কাঙ্কের এবং আবুজমারহের উত্তরে সীমানাবর্তী বনাঞ্চলে মাওবাদীদের উপস্থিতির খবর পায়। এরপর এই বাহিনী তল্লাশি অভিযানে। বাহিনী উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি চাপায় মাওবাদীরা। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনী। দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল গুলির লড়াই শুরু হয়ে যায়।


পুলিশ সূত্রে খবর, তল্লাশি চলাকালীন সকাল ৮টা নাগাদ মাওবাদী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। গুলির লড়াই চলতে থাকে।

নিরাপত্তা বাহিনী অস্ত্র ও বিস্ফোরক সহ পাঁচ মাওবাদীর দেহ উদ্ধার করেছে। তাঁদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। সম্প্রতি বিজাপুর জেলায় তিন মাওবাদীর দেহ উদ্ধার করে নিরাপত্তা বাহিনী। মৃত মাওবাদীদের মধ্যে একজনের মাথার দাম ছিল ৮ লক্ষ টাকা। কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মন্তব্য করেছিলেন, ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে ভারতকে মাওবাদী মুক্ত করা হবে।