রেমালের দাপটে লন্ডভন্ড মণিপুরে মৃত ৫, ক্ষতিগ্রস্ত লক্ষাধিক 

ইম্ফল, ১ জুন – ঘূর্ণিঝড় রেমালের দাপটে লন্ডভন্ড উত্তর-পূর্বের রাজ্য মণিপুর। ভয়াবহ বন্যা গ্রাস করেছে, রেমালের বিপর্যয়ে প্রাণ হারিয়েছেন  অন্ততপক্ষে ৫ জন। মৃত এবং আহতদের পরিবারের জন্য আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত রবিবার পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় রেমাল।

রাজ্যের একটি স্থানীয় সংবাদপত্রের দাবি, বন্যার ফলে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে মণিপুরে। যদিও সরকারিভাবে ৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ১৩ জন। সব মিলিয়ে  ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ১ লক্ষেরও বেশি। শুক্রবার বিকেলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং।নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি জানান, “বন্যা পরিস্থিতির খবর নিতে ফোন করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিপর্যস্ত মণিপুরের জন্য তিনি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ।” মণিপুরের জন্য সব রকম সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন অমিত শাহ। ইতিমধ্যেই বন্যা দুর্গত মণিপুরের জন্য বিশেষ আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ এবং আহতদের পরিবারের জন্য ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।

রাজধানী ইম্ফল সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।  বৃষ্টির দাপটে তলিয়ে গেছে এশিয়ার বৃহত্তম মহিলাদের বাজার, ইমা কেইথেল। ডুবেছে রাজভবন, খুমান লম্পক স্পোর্টস কমপ্লেক্স এবং পোলো গ্রাউন্ড। বৃষ্টির জল প্রবেশ করেছে সরকারি অফিস ও হাসপাতালে। মারাত্মকভাবে ব্যাহত হ্প্য়েছে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট পরিষেবা। 
 
রেমালের ল্যান্ডফলের পর থেকে এক সপ্তাহ ধরে টানা বৃষ্টি হয়েছে মণিপুরে। ফলে ইম্ফলের পার্শ্ববর্তী নদীর জলস্তর বেড়েছে। ইম্ফল পূর্ব ও পশ্চিম- দুই জেলায় বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে নদী। ইতিমধ্যেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা মোতায়েন করা হয়েছে এই দুই জেলায়।
 
প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে সেনাবাহিনী এবং আসাম রাইফেলস ব্যাপক ত্রাণ উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। বাহিনী এখনও পর্যন্ত মণিপুরে ১৫০০ টিরও বেশি মহিলা এবং ৮০০ শিশুসহ  ৪০০০ জনকে উদ্ধার করেছে।