• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

সরকার অধিগৃহীত ৬৭ একর থেকে মসজিদ নির্মাণের জমি দেওয়া হোক : ইকবাল আনসারি

কেন্দ্র সরকার ১৯৯১ সালে রাম জন্মভূমির বিতর্কিত জমি সহ ৬৭ একর জমি অধিগ্রহণ করেছিল।

বাবরি মসজিদ (File Photo: IANS)

জমি বিতর্ক মিটল বটে, কিন্তু মসজিদ নির্মাণের জমি চিহ্নিত করা নিয়ে জটিলতা বাড়ছে- অযােধ্যা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় মসজিদের জন্য পাঁচ একর জমি খোজার ক্রিয়া শুরু হওয়ার পরই মুসলিম সমাজের ব্যক্তিত্বরা মত প্রকাশে মেতে উঠেছে। তাদের বক্তব্য, মুসলিম ভাবাবেগকে সরকার বা আদালত কেউ যদি সত্যিকারের গুরুত্ব দিয়ে প্রশমিত করতে চায়, তাহলে অধিগৃহীত এলাকার মধ্যে থেকে ৫ একর জমি দিতে হবে ঠিক যেমনভাবে একাধিক করবস্থান ও ১৮ শতকের সুফি সন্ত কাজী কুদওয়ার দরগা সহ একাধিক দরগা মুসলিমদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুসারে মুসলিম পক্ষকে মসজিদ নির্মাণ করার জন্য পাঁচ একর জমি দেওয়া হবে। রাম জন্মভূমি বাবরি মসজিদ জমি বিতর্ক মামলার মূল আবেদনকারী ইকবাল আনসরি বলেন, স্থানীয় মুসলিম নেতারা দাবি জানিয়েছে অযােধ্যায় সরকার গৃহীত ৬৭ একর জমি থেকে মসজিদ তৈরির জন্য ৫ একর জমি দেওয়া হােক।

কেন্দ্র সরকার ১৯৯১ সালে রাম জন্মভূমির বিতর্কিত জমি সহ ৬৭ একর জমি অধিগ্রহণ করেছিল। আনসারি বলেন, যদি ওরা আমাদের জমি দিতে চায়, তাহলে আমাদের সুবিধামতাে ওই অধিগৃহীত ৬৭ একর জায়গা থেকে মসজিদ তৈরির জন্য পাঁচ একর জমি দেওয়া হােক। তাহলে আমরা ওই জমি নেব। নইলে আমরা প্রস্তাব খারিজ করে দেব। লােকমুখে শােনা যাচ্ছে  চৌরা কসে গিয়ে মসজিদ তৈরির কথা– এটা ঠিক নয়। আনসারি বলেছিলেন, তিনি মামলার রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করবেন না।

মৌলানা জালাল আসরফ বলেন, ‘মুসলিমরা সরকারের ওপর নির্ভরশীল নয়, মসজিদ তৈরি করার জন্য নিজেরা টাকা দিয়ে জমি কিনতে পারে’। অল ইন্ডিয়া মিল্লি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক খালিক আহমেদ খানও একই মত প্রকাশ করেন। অজি মেহবুব বলেন, ‘আমরা কোনও ললিপপ নেব না। ওদেরকে বলতে হবে কোথায় আমাদের জমি দেওয়া হবে’।

অযােধ্যা পুরসভার কর্পোরেটর হাজি আসাদ আহমেদ বলেন, ‘বাবরি মসজিদের পরিবর্তে মুসলিমরা কোনও জমি চায় না। কিন্তু যদি সরকার আমাদেরকে মসজিদ নির্মাণ করার জন্য জমি দিতে চায়, তাহলে সকারের অধিগৃহীত ৬৭ একর জমি থেকে আমাদেরকে জমি দিতে হবে। নইলে আমাদের কোনও অনুদান চাই না’।

জামিয়াত উলেমায় হিন্দের সভাপতি (অযােধ্যা) মৌলানা বাদাহা খান বলেন, মুসলিম পক্ষ বাবরি মসজিদ নিয়ে মামলা করেছিল, অন্য কোনও জমির জন্য নয়। যে কোনও জায়গায় মসজিদ নির্মাণের জন্য কোন জমি চাইনা।

সমাজ কর্মী ইউসুফ খান বলেন, ‘জমি বিতর্ক মিটে গেছে- মসজিদ তৈরির জন্য কোনও অতিরিক্ত জমি লাগবে না। অযােধ্যায় প্রচুর মসজিদ রয়েছে সেখানে আমরা ধর্মীয় আচার পালন করতে পারব। সুপ্রিম কোর্ট রাম মন্দিরের পক্ষে রায় দিয়েছে। পুরাে বিষয়টা এখন শেষ’।

উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের তরফে অযােধ্যার মধ্যে ও বাইরে পাঁচ একর জমির খোঁজা শুরু করেছে। সরকারি আধিকারিক জানিয়েছে, আমাদেরকে ভালাে জায়গায় ৫ একর জমি খুঁজতে বলা হয়েছে।