• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

ইয়েস ব্যাঙ্কের কাছে ৪৪টি কোম্পানির অনাদায়ী ঋণ ৩৪,০০০ কোটি টাকা

সঙ্কটাপন্ন ইয়েস ব্যাঙ্কের অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ ৩৪,০০০ কোটি টাকা, যা দশটি বৃহৎ শিল্প গােষ্ঠীর ৪৪টি কোম্পানি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিল।

ইয়েস ব্যাঙ্ক (File Photo: IANS)

সঙ্কটাপন্ন ইয়েস ব্যাঙ্কের অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ ৩৪,০০০ কোটি টাকা, যা দশটি বৃহৎ শিল্প গােষ্ঠীর ৪৪টি কোম্পানি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিল। ইয়েস ব্যাঙ্কের থেকে প্রকাশিত তালিকায় দেখা গেছে, মূলত পরিকাঠানাে নির্মাণ, রিয়েল এস্টেট ও ফিন্যান্সিয়াল সেক্টরের সঙ্গে জড়িত সংস্থাগুলাে মােটা অঙ্কের ঋণ নিয়েছিল। 

অর্থ জালিয়াতি ও দেশের বিভিন্ন গ্রুপকে বিভিন্ন সময়ে মােটা অঙ্কের ঋণ মঞ্জুর করার জন্য ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও রানা কাপুর ও তার পরিবারের সদস্যদের তদন্ত করা হচ্ছে। দেশের মােট দশটি বৃহৎ শিল্প গােষ্ঠীর ৪৪টি কোম্পানি ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে ৩৪,০০০ কোটি টাকার বেশি ঋণ নিয়েছিল। তার মধ্যে অনিল অম্বানী গ্রুপের নটি কোম্পানির অনাদীয় ঋণের পরিমাণ ১২,৮০০ কোটি টাকা। এজেল গ্রুপের ১৬টি কোম্পানির অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ ৮৪০০ কোটি টাকা। ডিএইচএফএল গ্রুপের দেওয়ান হাউজিং ফিন্যান্স কর্পোরেশন ও বিলিফ রিয়েলটরস প্রাইভেট লিমিটেডের অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ ৪৭৩৫ কোটি টাকা। আইএল এন্ড এফএস’র অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ ২৫০০ কোটি টাকা। জেট এয়ারওয়েজের অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ ১১০০ কোটি টাকা। 

পাশাপাশি কেরকার গ্রুপের কস্ক এন্ড কিংস ও গাে ট্রাভেলসের অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ ১০০০ কোটি টাকা। বিএম খৈতান গ্রুপের ভারত ইনফ্রা ও ম্যাকলিওড রাসেল অসম টি ও এভারেডি কোম্পানির অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ ১২৫০ কোটি টাকা। ওমকার রিয়েলটরস এন্ড ডেভলপারসের অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ ২৭১০ কোটি টাকা, রেডিয়াস ডেভলপরসের অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ ১২০০ কোটি টাকা ও থাপার গ্রুপের সি জি পাওয়ারের অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা। 

দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছিলেন, ‘এনডিএ ক্ষমতায় আসার আগে থেকে বেসরকারি সেক্টর ব্যাঙ্কের থেকে কর্পোরেট গ্রাহকরা বিশাল পরিমান টাকার ঋণ নেওয়ার ফলে ইয়েস ব্যাঙ্ককে সঙ্কটের মুখে পড়তে হয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বাধ্য হয়ে ইয়েস ব্যাঙ্কের ওপর মােরাটোরিয়াম লাগু করেছে।’

তিনি বলেন, ‘অনিল অম্বানী গ্রুপ, এজেল গ্রুপ, ভােডাফোন সহ একাধিক গ্রুপের নাম প্রকাশ করেছে, যারা ২০১৪ সালের আগে মােটা অঙ্কের ঋণ নিয়েছিল।’