ইটানগর, ২৫ ফেব্রুয়ারি – অরুণাচল প্রদেশে বিজেপিতে যোগ দিলেন চারজন বিধায়ক। রবিবার ইটানগরে এক কর্মসূচীতে বিজেপিতে যোগ দেন কংগ্রেসের বিধায়ক নিনং এরিং এবং ওয়াংলিং লোয়ানডং। এছাড়াও বিজেপিতে যোগ দেন ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির দুই বিধায়ক মুটচু মিথি এবং গোকর বাসার।
এক সময় কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি ছিল অরুণাচল প্রদেশ। ২০১১ সালে এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী দোর্জি খান্ডুর মৃত্যু হয়। এরপরই অরুণাচলের আকাশে অশান্তির কালো মেঘ ঘনিয়ে আসে। প্রথমে জারবম মুখ্যমন্ত্রী হন গামলিন। কংগ্রেসে শুরু হয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। গামলিনকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করেন নাবাম টুকি। ২০১৪ সালের ভোটে কংগ্রেস ৪২ আসনে জিতলে টুকি ফের মুখ্যমন্ত্রী হন। কিন্তু কালিখো পুলের নেতৃত্বে পেমা-সহ বিদ্রোহী বিধায়কেরা তাঁকে সরিয়ে সরকার গড়েন। মামলা আদালতে গড়ায়। রাষ্ট্রপতি শাসনে টুকি ক্ষমতা ফিরে পেলেও পেমার নেতৃত্বে অধিকাংশ বিধায়ক দলবদল করে পিপিএতে যোগ দেন। আঞ্চলিক দল পিপিএ সরকার গড়ে। পরে তাঁরা ফের দল বদলে বিজেপিতে যোগ দেন। এর পর অরুণাচল দ্বিতীয়বার বিজেপির হাতে আসে। অতীতে দলবদলের জেরে কিছু দিনের জন্য রাজ্যে গেগং আপাংয়ের নেতৃত্বে বিজেপি সরকার এসেছিল।
২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৬০টির মধ্যে ৪১টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। গত ১৫ বছরে ইটানগরে বহু বার রাজনৈতিক ওঠাপড়া হয়েছে। ২০১৯ সালের নির্বাচনের আগে অরুণাচলে পরিস্থিতি ছিল উত্তপ্ত। পেম এবং নেডার তৎকালীন চেয়ারম্যান হিমন্তবিশ্ব শর্মা বিপক্ষে থাকা নেতাদের ভোটের টিকিট দেননি। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতা দখল করে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হন পেমা। ক্রমে এক এক করে বিরোধী বিধায়ক যোগ দেন বিজেপিতে। এ বার ভোটের আগে যোগ দিলেন আরও চার বিধায়ক ।