৩৩ শতাংশ সাংসদের নামে ফৌজদারি মামলা, সম্পত্তি হার মানায় কুবেরকেও!
দিল্লি, ৩ মার্চ-– বর্তমানে দেশজুড়ে রাজনীতিবিদদের নাম কোনও ভালো কাজের জন্য নেওয়া হয় না৷ প্রায়ই তাদের নাম আলোচিত হয় কোনও না কোন দূর্নীতির কারণে৷ রাজনীতিকদের সম্পর্কে জনমানসে ধারণা খুব একটা উজ্জ্বল নয় তা বলাই বাহুল্য৷ সম্প্রতি যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে তাও রাজনীতির বর্তমান অবস্থাকেই শিলমোহর দিয়েছে৷
সম্প্রতি একটি রিপোর্ট পেশ করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস’ (এডিআর)৷ মোট ২২৫ জন রাজ্যসভার সাংসদের উপর এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল৷ তাতে বলা হয়েছে, রাজ্যসভার ৩৩ শতাংশ সাংসদ কোনও না কোন ফৌজদারি মামলা জড়িয়ে আছেন৷ সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সাংসদদের ৩৩ শতাংশের মিলিত সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা! তবে শুধু ফৌজদারি মামলা নয়, ন্যাশনাল ইলেকশন ওয়াচ (এনইডব্লু) এবং এডিআরের যৌথ সমীক্ষা মোতাবেক, রাজ্যসভার দুজন সাংসদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা বা খুনের মামলাও চলছে৷ অর্থাৎ তারা খুনের আসামী৷ চার সাংসদের বিরুদ্ধে ৩০৭ ধারা বা হত্যার চেষ্টার ধারায় মামলা আছে৷
ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে তালিকায় কোন দল কোথায় রয়েছে তাও বলা হয়েছে এডিআর রিপোর্টে৷ দেখা যাচ্ছে. সংখ্যাতত্ত্বের হিসাবে দাগি সাংসদদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বিজেপিতে৷ এডিআর-এর রিপোর্ট মোতাবেক, এই দাগি সাংসদদের সম্পত্তির পরিমাণ জানলে চোখ কপালে উঠবে৷ বর্তমানে রাজ্যসভার ২২৫ জন সদস্যের মিলিত সম্পত্তি ১৯ হাজার ৬০২ কোটি টাকা৷ অর্থাৎ, এই হিসাবে প্রত্যেক রাজ্যসভার সদস্যের গড় সম্পদের পরিমাণ ৮৭ কোটি ১২ লক্ষ টাকা৷ রাজ্যসভার দলের ৯০ সাংসদের মধ্যে ২৩ শতাংশের মানে ফৌজজারি মামলা রয়েছে৷
তালিকায় দ্বিতীয় কংগ্রেস৷ হাত শিবিরের ২৮ জন সাংসদ ‘দাগি’৷ তৃতীয় স্থানে রয়েছে তৃণমূল৷ ঘাসফুল শিবিরের ১৩ সাংসদের মধ্যে ৫ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে, যা প্রায় ৩৮ শতাংশ৷
সবমিলিয়ে, রাজনীতিতে ‘দাগি’ সাংসদদের সংখ্যা রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো৷