• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

রেশন সঙ্গে মোদির ছবিও, ব্যাগেই খরচ ৩০০ কোটি

দিল্লি, ১৬ জানুয়ারি– কাট-আউটের পর এবার ছবিওয়ালা ব্যাগ৷ জনগণের কোটি-কোটি জলাঞ্জলি দিয়ে চলছে বিজেপির মোদি প্রচার৷ আসন্ন লোকসভা নির্বাচন দোড়গোড়ায়৷ সেই নির্বাচন পালে আনতে মোদিই ভরসা৷ আর তাই কিছুদিন আগেই মেট্রো স্টেশনের কায়দায় দেশের সমস্ত রেশন দোকানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির থ্রি-ডি কাটআউট বসানোর সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল খাদ্যমন্ত্রক৷ দেশের জনগণ রেশন নিতে আসলেই তাদের দেখানো হচ্ছে ‘বিনামূল্যে

দিল্লি, ১৬ জানুয়ারি– কাট-আউটের পর এবার ছবিওয়ালা ব্যাগ৷ জনগণের কোটি-কোটি জলাঞ্জলি দিয়ে চলছে বিজেপির মোদি প্রচার৷ আসন্ন লোকসভা নির্বাচন দোড়গোড়ায়৷ সেই নির্বাচন পালে আনতে মোদিই ভরসা৷ আর তাই কিছুদিন আগেই মেট্রো স্টেশনের কায়দায় দেশের সমস্ত রেশন দোকানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির থ্রি-ডি কাটআউট বসানোর সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল খাদ্যমন্ত্রক৷ দেশের জনগণ রেশন নিতে আসলেই তাদের দেখানো হচ্ছে ‘বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছে কে? নরেন্দ্র মোদি৷’ দেশজুডে় রেশন দোকানে এমন হোডিং তৈরিতে খাদ্যমন্ত্রকের তরফে খরচ হয় ২২ কোটি৷ এই বিতর্ক তো রয়েছেই৷ এবার আরেক বিতর্ক শুরু৷
এবার ক্রেতাদের শুধু ছবি দেখিয়ে হবে না তাদের বাড়িতে পেঁৗছে দিতে হবে মোদিকে৷ কিভাবে? রেশনের খাদ্যসামগ্রী সংগ্রহের জন্য বিশেষ ধরনের প্লাস্টিকের ব্যাগ দেবে কেন্দ্র৷ লোকসভা ভোটের আগেই এই ব্যাগ বিলি হবে৷ প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার আওতায় থাকা ২০.০৩ কোটি জনতার হাতে এই ব্যাগ পৌঁছে দিতে চাইছে কেন্দ্র জানা গেছে, এক একটি ব্যাগের ধারণ ক্ষমতা থাকবে ১০ কেজি৷ আর এই ব্যাগগুলির গায়ে থাকবে প্রধানমন্ত্রী মোদির ছবি৷ ছবির সঙ্গে কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের সম্পর্কেও বিস্তারিত লেখাও থাকবে ব্যাগের গায়ে৷ এই খবর প্রকাশ্যে আসতে শুরু হয়ে ফের বিতর্ক৷ কারণ এই প্রকল্পে খাদ্যমন্ত্রকের তরফে খরচ হবে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা৷ ৷
তবে মোদি শিবিরের এই আত্মপ্রচারে বিরোধ প্রকাশে থেমে নেই যারা তাদের মধ্যে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম সবার আগে নিতে হয়৷ সবকিছুতে মোদির এই আত্মপ্রচার নিয়ে আগেই বিভিন্ন সভা সমাবেশ থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ সম্প্রতি নেতাজি ইন্ডোরের সভা থেকে তিনি বলেছিলেন, “নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে৷ সেদিকে কেন্দ্রের লক্ষ্য নেই৷ উল্টে জনগণের করের টাকায় বিজেপি শুধু সবকিছুকে গেরুয়াকরণ করতেই ব্যস্ত!”