জম্মু-কাশ্মীরে সেনা এবং জঙ্গি সংঘর্ষে খতম ৩ জঙ্গি

ভোট আসন্ন উপত্যকায়, তার আগেই অতিমাত্রায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনী। বৃহস্পতিবার জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলায় হওয়া দুটি পৃথক এনকাউন্টারে নিকেশ তিন জঙ্গি।

প্রথম এনকাউন্টারটি হয়েছে কুপওয়ারা জেলার মাচালি এলাকার কুমকাদিতে এবং দ্বিতীয়টি কুপওয়ারা জেলারই তাংধার অঞ্চলে। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাচালি এলাকায় গতকাল অর্থাৎ বুধবার রাত্রে প্রথম ঘটনাটি ঘটে। ইন্টেলিজেন্সের খবরে নিরাপত্তা বাহিনী জানতে পারে, কিছু জঙ্গি ওই অঞ্চলে জোর করে ঢোকবার চেষ্টা করছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেও নিরাপত্তা বাহিনীর দল চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে যায়। সন্দেহজনক গতিবিধি চোখে পড়তেই গোলাগুলি চলে, মৃত্যু হয় দুই জঙ্গির। অন্যদিকে তাংধার এলাকায় জঙ্গি অনুপ্রবেশের খবর পাওয়া যায়। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয় অনুপ্রবেশকারীদের, নিহত হয় এক জঙ্গি।

ইতিমধ্যে রাজৌরি জেলাতেও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে জঙ্গিদের। রাজৌরি জেলার লাঠি গ্রামে সেনাবাহিনী, স্থানীয় পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনী সিআরপিএফ একসঙ্গে কর্ডন অ্যান্ড সার্চ অপারেশন চালাচ্ছে।


বিগত দুই মাস ধরেই নিরাপত্তাবাহিনী উপত্যকায় শান্তি বজায় রাখতে পর পর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে। এর লক্ষ্য একটাই – আসন্ন বিধানসভা ভোটে জঙ্গিরা যেন কোনওরকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে।

এই উপলক্ষ্যে উপত্যকায় তিনশোরও অধিক আধাসামরিক বাহিনীর কোম্পানিকে বিভিন্ন জায়গায় নিযুক্ত করা হয়েছে। জঙ্গিরা যাতে ঝটিতি ও চোরাগোপ্তা আক্রমণ করতে না পারে, সেই উদ্দেশ্যেই নিরাপত্তার ব্যবস্থা এতো কড়া।

প্রসঙ্গত, এবার জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় ৯০টি আসনে তিন দফায় নির্বাচন হবে। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর, ২৫ সেপ্টেম্বর ও ১ অক্টোবর মোট ৩ দফায় নির্বাচন হবে, ৪ অক্টোবর ভোট গণনা হবে।

উপত্যকায় শেষবার বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল ২০১৪ সালে, তখন তা রাজ্য ছিল। ২০১৯ সালে আইনসভা-বিশিষ্ট কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষিত হওয়ার পরে এই প্রথম ভোট হতে চলেছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (পিডিপি) ২৮টি আসনে জয়লাভ করে, ভারতীয় জনতা পার্টি পায় ২৫টি আসন, ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং কংগ্রেস যথাক্রমে ১৫টি এবং ১২টি আসন পায়।

জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার মোট আসনসংখ্যা ৯০, যার মধ্যে ৪৭টি আসন রয়েছে কাশ্মীরে, বাকি ৪৩টি জম্মুতে।