দিল্লি, ২৩ জুলাই– নারীর ক্ষমতায়নের তিনিই সবথেকে বড় উদাহরণ৷ তৃতীয় মোদি সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ইতিমধ্যেই তৃতীয়বার বাজেট পেশ করে ইতিহাস সৃষ্টি করে ফেলেছেন৷ সেই নির্মলাই প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেটে নারী ক্ষমতায়নে বিশেষ জোর দিয়ে জানালেন, সরাসরি আর্থিক সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার থেকে মহিলাদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে বাজেটে৷ কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের অংশদারিত্ব বাড়াতে একাধিক প্রকল্প ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী৷
দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের ফোকাসে রয়েছেন মহিলারা৷ সেটা উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় ভরতুকি দেওয়া হোক, কোভিডকালে মহিলাদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি অর্থ প্রদান হোক বা তিন তালাক বাতিল, মহিলা ভোটারদের বরাবরই টার্গেট করে এনডিএ সরকার৷ এবারে বাজেটে সেই মহিলারাই যে লক্ষ্য তা ফের একবার প্রমাণিত৷
এই বাজেটে শুধু মহিলাদের উন্নয়নের জন্য প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করবে সরকার৷ নির্মলা দাবি করেছেন, আগামী অর্থবর্ষে কেন্দ্র সরকার অন্তর্বর্তী বাজেটে যে লাখপতি দিদি প্রকল্প ঘোষণা করেছিল, সেটার সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে৷ উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় গ্যাসের দামে সরাসরি ভরতুকির পরিমাণ আগের থেকে বাড়ানো হবে৷ দেশের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে মহিলাদের জন্য বরাদ্দ বাড়ানো হবে৷ বিভিন্ন হাসপাতালে মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে৷ সমস্ত আশা এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় আসবেন৷
তবে রাজনীতি হোক বা উন্নতি মহিলাদের জন্য মোদি সরকারের এই ভাবনায় বেশ খুশি বাংলার উদ্যোগপতি মহিলারা৷ এই যেমন সুজাতা গুইন, চেয়ারপারসন, সিআইআই ইন্ডিয়ান উইমেন নেটওয়ার্ক, পশ্চিমবঙ্গ চ্যাপ্টার জানানেল, এমএসএমই এবং মধ্যবিত্তের উপর নারী ও যুব – কর্মসংস্থান এবং দক্ষতা – এর উপর এবারের বাজেটে যে গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে তা একেবারে ঠিক৷ বিশেষ করে বাজেটে মহিলাদের নেতৃত্বে উন্নয়নের উপর জোর দেওয়ার কথা উল্লেখ করতে চাই, যার জন্য মহিলাদের সুবিধার জন্য ৩ লক্ষ কোটি টাকার ঘোষণা করা হয়েছে৷ ৫টি প্রকল্পের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ২ লক্ষ কোটি পিকেজি যা ৪.১কোটি যুবকদের চাকরি ও দক্ষতার সুযোগ দেবে৷ যা আগামী দিনে কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে উৎসাহিত করবে৷
এই বাজেটে মহিলাদের নিয়ে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, সরকারি নয় বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে মহিলাদের অংশগ্রহণ বাড়াতে সক্রিয় হচ্ছে কেন্দ্র৷ মহিলা কর্মীদের জন্য শিল্পক্ষেত্র এবং আইটি হাবগুলিতে ওমেন হস্টেল এবং ক্রেশ তৈরি করা হবে৷ আর্থিক সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, এই মুহূর্তে দেশের কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের অংশদারিত্ব ৩৭ শতাংশ৷ সেটা আগামী দিনে ৫০ শতাংশের বেশি করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে কেন্দ্রের৷ এর বাইরে মহিলাদের স্ট্যাম্প ডিউটিতেও ছাড় দেওয়া হচ্ছে৷