গণধর্ষণের চেষ্টা করা হল বিহারের এক বেসরকারি হাসপাতালের নার্সকে। অভিযুক্তদের মধ্যে এক ডাক্তারও ছিলেন বলে জানায় পুলিশ, যিনি ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষেরই একজন আবার। তাঁর গোপনাঙ্গে ব্লেড চালিয়ে পালিয়ে নিজেকে রক্ষা করেন ওই নার্স।
পুলিশ জানিয়েছে, বিহারের সমস্তিপুর জেলার গঙ্গাপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ওই নার্স চাকরি করেন। বুধবার রাতে নিজের ডিউটি সেরে বেরোবার জন্য তিনি তৈরি হচ্ছিলেন, এমন সময়ে ডাক্তার সঞ্জয় কুমার এবং তাঁর দুই সঙ্গী তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তিনজনেই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
অভিযোগকারিণী নার্স তিনজনের হাত ছাড়িয়ে কোনওমতে পালাতে সক্ষম হন। পালানোর আগে ওই ডাক্তারের গোপনাঙ্গ ব্লেড দিয়ে কেটে ক্ষতবিক্ষত করে দেন তিনি। পালিয়ে হাসপাতালের বাইরের মাঠে লুকিয়ে পুলিশকে ফোন করেন তিনি।
সমস্তিপুর পুলিশের ডিএসপি সঞ্জয় কুমার জানান, খবর পাওয়ামাত্রই পুলিশের একটি দল হাসপাতালে পৌঁছোয়। নার্সকে সুরক্ষিত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় ডাক্তার সঞ্জয় কুমার সমেত তিন অভিযুক্তকেই। বাকি দুই অভিযুক্তের নাম – সুনীল কুমার গুপ্তা এবং অবধেশ কুমার।
অভিযোগকারিণীর সাহস এবং উপস্থিত বুদ্ধির প্রশংসা করেছেন ডিএসপি সঞ্জয় কুমার। তিনি বলেন, ওই নার্সকে ধর্ষণ করতে যাওয়ার আগে অভিযুক্তরা হাসপাতালের দরজা ভিতর থেকে আটকে দিয়েছিল। সমস্ত সিসিটিভি ক্যামেরাও বন্ধ করে দিয়েছিল তারা।
পুলিশ আধবোতল মদ, নার্সের ব্যবহৃত ব্লেড, রক্তাক্ত কাপড় এবং তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে। অভিযুক্তদের নামে মদ্যপানের জন্যও মামলা করা হবে বলে জানায় পুলিশ, কারণ বিহারে মদ্যপান নিষিদ্ধ।