দু’দিনে বাংলাদেশের ময়মনসিংহ ও দিনাজপুর জেলার তিনটি হিন্দু মন্দিরে আটটি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুষ্কৃতীরা। ময়মনসিংহের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে ধারাবাহিক হামলা চালানো হচ্ছে বাংলাদেশে।
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় বৃহস্পতি ও শুক্রবার পৃথক ঘটনায় দুটি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি আবুল খায়ের জানান, শুক্রবার ভোরে সাকুয়াই ইউনিয়নের বন্দরপাড়া মন্দিরের দুটি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনও মামলা দায়ের করা হয়নি এবং কাউকে গ্রেপ্তারও করা হয়নি।
অন্য দিকে বৃহস্পতিবার ভোরে বিলডোড়া ইউনিয়নের পলাশকান্দা কালী মন্দিরের একটি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়। পরে পলাশকান্দা গ্রামের আলাল উদ্দিন (২৭) নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশ। খায়ের বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে সন্দেহভাজন ব্যক্তি অপরাধ স্বীকার করেছে। শুক্রবার তাকে ময়মনসিংহের আদালতে হাজির করার পর জেলে পাঠানো হয়েছে।
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ঝাড়বাড়ী শ্বশানকালী মন্দিরে ৫টি প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। মন্দির কমিটির সভাপতি জনার্দন রায় বলেন, আমরা এখানে এমন জিনিস কখনও দেখিনি। ওসি আব্দুল গফুর বলেন, তদন্ত চলছে।
গত আগস্টে প্রকাতন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর বাংলাদেশে হিন্দুদের মন্দির ও সম্পত্তিতে হামলার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সপ্তাহে সুনামগঞ্জ জেলায় একটি হিন্দু মন্দির ভাঙচুর এবং হিন্দুদের বাড়িঘর ও দোকানপাটে হামলার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি ঢাকায় বাংলাদেশি আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকে সংখ্যালঘুদের বিশেষ করে হিন্দুদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক হিংসার ৮৮টি ঘটনা স্বীকার করেছে বাংলাদেশ।