• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

মধ্যপ্রদেশের হোম থেকে নিখোঁজ ২৬ জন শিশু ও কিশোরী আবাসিক 

ভোপাল, ৬ জানুয়ারী –  কিশোরীদের এক হোম থেকে উধাও হয়ে গেল ২৬ জন । মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালের পারওয়ালিয়া থানা এলাকায় অবস্থিত এই হোমে বিভিন্ন রাজ্যের  ৬ থেকে ১৮-বছরের  মোট ৬৮ জন মেয়ে থাকে। কিন্তু, সম্প্রতি হোমে গিয়ে মাত্র ৪১ জন মেয়ের সন্ধান পান জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের কর্তাব্যক্তিরা। তখনই চিহ্নিত করা হয় যে ২৬ জন মেয়ে নিখোঁজ। এই

ভোপাল, ৬ জানুয়ারী –  কিশোরীদের এক হোম থেকে উধাও হয়ে গেল ২৬ জন । মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালের পারওয়ালিয়া থানা এলাকায় অবস্থিত এই হোমে বিভিন্ন রাজ্যের  ৬ থেকে ১৮-বছরের  মোট ৬৮ জন মেয়ে থাকে। কিন্তু, সম্প্রতি হোমে গিয়ে মাত্র ৪১ জন মেয়ের সন্ধান পান জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের কর্তাব্যক্তিরা। তখনই চিহ্নিত করা হয় যে ২৬ জন মেয়ে নিখোঁজ। এই মেয়েরা এখন কোথায় আছে, তার  কোন হদিশ মেলেনি। এমনকি হোমে ওই মেয়েদের কোনও রেকর্ডও নেই। প্রাথমিক তদন্তে খবর, সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে ওই গার্লস হোম চালানো হচ্ছিল। শুধু তাই নয়, গার্লস হোম চালানোর কোনও লাইসেন্সও তাদের ছিল না। এমনকি  গোপনে ওই মেয়েদের ধর্মান্তরিত করার অভিযোগও উঠেছে  হোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

ভোপালের ওই গার্লস হোম ‘আঁচল মিশনারি অর্গানাইজেশন’ একটি খ্রিষ্টীয় সংস্থা। গুজরাট, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থান, এবং মধ্যপ্রদেশের সিহোর, রাইসেন, ছিন্দওয়াড়া, বলাঘাট এবং বিদিশা থেকে মেয়েরা এসে এই গার্লস হোমে থাকে। এই হোমের বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠছিল। সম্প্রতি, জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়াঙ্কা কানুনগো মধ্য প্রদেশের মুখ্য সচিবকে চিঠি দিয়ে, ২৬ জন মেয়ে আবাসিকের নিখোঁজ হওয়ার খবর জানান। তাঁর অভিযোগ, হোমের কর্তা ও সেখানকার শিশুদের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন, গার্লস হোমটির কোনও সরকারি স্বীকৃতি নেই।

জানা গিয়েছে, গার্লস হোম কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা জানতই না যে হোম থেকে ২৬ জন মেয়ে নিখোঁজ রয়েছে।  পুলিশের কাছেও  কোনও অভিযোগও দায়ের হয় নি। প্রিয়াঙ্কা কানুনগো এই বিষয়ে পুলিশি হস্তক্ষেপ দাবি করেন। সাত দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে নথিসহ কমিশনে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এরপরই এই বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে স্থানীয় পুলিশ।

অভিযোগ, কোনও মেয়েকে উদ্ধার করার পর তাকে প্রথমে শিশু কল্যাণ কমিটির সামনে উপস্থিত করতে হবে। কিন্তু, ওই হোমে শিশুদের রাস্তা থেকে উদ্ধারের পর শিশু কল্যাণ কমিটির সামনে হাজির না করেই সেখানে রাখা হতো ।

রাজ্য শিশু কমিশনের অনুমান, ওই হোমে শিশুদের ধর্মান্তরিত করার কাজ হতো। দরিদ্র শিশুদের রাস্তা থেকে উদ্ধার করে হোমে এনে তাদের ধর্মান্তরিত করত  মিশনারি সংস্থাটি।এই ঘটনার পর উদ্বেগ প্রকাশ করেন মধ্য প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “ভোপালের পারওয়ালিয়া থানা এলাকায় বিনা অনুমতিতে পরিচালিত এক শিশু নিবাস থেকে ২৬ জন মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা আমার নজরে এসেছে। বিষয়টির গুরুত্ব ও সংবেদনশীলতা বিবেচনা করে সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”

ওই হোমের বিরুদ্ধে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ থাকলেও পুলিশ এখনও সেই ধারায় কোনও অপরাধ নথিভুক্ত করেনি। যদিও ওই রাজ্যের এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন প্রমাণ পাওয়ার পর ধারা বাড়ানো হতে পারে।