কেরলে হাড়হিম হত্যাকাণ্ড! ৫ জনকে হত্যা করে থানায় আত্মসমর্পণ করল এক যুবক। ২৩ বছর বয়সী ওই যুবকের দাবি, মা, ভাই, ঠাকুমা, দুই আত্মীয় এবং প্রেমিকাকে খুন করেছে সে। কেরলের তিরুঅনন্তপুরমের এই ঘটনার কথা সামনে আসতেই এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিবারের যে ৬ জনের উপর হামলা চালায় যুবক, তাদের মধ্যে পাঁচ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। কোনওক্রমে বেঁচে গিয়েছেন তার মা। যদিও ওই মহিলা আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্বভাবতই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কী কারণে একসঙ্গে ৫ জনকে হত্যা করল ওই যুবক। ওই তরুণের বিদেশে ব্যবসা রয়েছে। অভিযুক্তের দাবি, নানা কারণে ব্যবসা ভালো চলছিল না, তাই সে প্রচুর ধারদেনা করে ফেলে। দেনা মেটানোর জন্য পরিবারের সকলের কাছ থেকে টাকাও চায়। কিন্তু কেউ নাকি সেই কথায় গুরুত্ব দেয়নি। ফলে ক্রমেই দেনার পরিমাণ বাড়তে থাকে। পরিবার থেকে সাহায্য না পেয়েই ওই যুবক সবাইকে খুনের সিদ্ধান্ত নেয় বলে দাবি করেছে সে।
পুলিশ খতিয়ে দেখছে, অভিযুক্তের দেওয়া এই বয়ান আদৌ সত্যি কি না। অভিযুক্ত যুবকের মোবাইলের তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই যুবক মাদকাসক্ত কি না, তা-ও তদন্তের আওতায় রাখছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে তিনটি আলাদা জায়গায় হত্যাকাণ্ডে চালানো হয়। অভিযুক্ত আরফান থানায় এসে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করার পর গোটা বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
পুলিশ ওই যুবকের ১৩ বছরের ভাই আহসান, দিদা সলমা বিবি, মামা লতিফ, মামি শিহাহা এবং প্রেমিকা ফারশানার দেহ উদ্ধার করেছে। অভিযুক্ত তরুণ ধারালো অস্ত্র এবং হাতুড়ি দিয়ে মাকে খুনের চেষ্টা করেন। তবে তাতে সফল হয়নি সে। তিরুঅন্তপুরমের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে আশঙ্কাজনক আরফানের মায়ের। অভিযুক্ত তরুণকেও হাসপাতালের ভর্তি করানো হয়।