• facebook
  • twitter
Thursday, 26 December, 2024

‘বেসামাল’ রোধে রামের প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন ‘ড্রাই ডে’ ঘোষণা অযোধ্যা সহ পাঁচ রাজ্যে

অযোধ্যা, ১৫ জানুয়ারি– এক সপ্তাহ পরেই রামমন্দিরের উদ্বোধন৷ রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ দেশজুড়ে নানাভাবে পালিত হবে রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান৷ প্রতিটি বুথে সরাসরি দেখানোও হবে রামমন্দিরের উদ্বোধন৷ উত্তরপ্রদেশ সরকার জানিয়েছে, রামমন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে রাজ্যের সমস্ত অফিস ছুটি থাকবে এদিন৷ শুধু ছুটিই নয়, ২২ জানুয়ারি ইতিমধ্যেই পাঁচ রাজ্যে ঘোষিত হয়েছে ‘ড্রাই ডে’৷ উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান,

অযোধ্যা, ১৫ জানুয়ারি– এক সপ্তাহ পরেই রামমন্দিরের উদ্বোধন৷ রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ দেশজুড়ে নানাভাবে পালিত হবে রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান৷ প্রতিটি বুথে সরাসরি দেখানোও হবে রামমন্দিরের উদ্বোধন৷ উত্তরপ্রদেশ সরকার জানিয়েছে, রামমন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে রাজ্যের সমস্ত অফিস ছুটি থাকবে এদিন৷ শুধু ছুটিই নয়, ২২ জানুয়ারি ইতিমধ্যেই পাঁচ রাজ্যে ঘোষিত হয়েছে ‘ড্রাই ডে’৷ উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, অসম, উত্তরাখণ্ড এবং ছত্তীসগড়, এই পাঁচ রাজ্য আপাতত অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন ‘ড্রাই ডে’ অর্ধাৎ কোনও রকম নেশা বিক্রি বা কেনা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে৷ এছাড়াও এই পাঁচ রাজ্য ছাড়া আরও কিছু রাজ্য ২২ তারিখ ‘ড্রাই ডে’ ঘোষণা করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷ গুজরাত এবং বিহারে এমনিতেই মদ নিষিদ্ধ৷ রাজ্য সরকারগুলির তরফে জানানো হয়েছে, মূলত সুরক্ষার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ যদিও এটাও বলা হয়েছে, ভগবান রাম হিন্দুদের কাছে পরম পূজনীয়, আর ২২ তারিখ হিন্দুদের কাছে একটি অত্যন্ত বিশেষ দিন হতে চলেছে, তাই সেদিন কেউ ‘বেসামাল’ হোক, চাইছেন না ধর্মপ্রাণ মানুষেরা৷  তবে এই ঘোষণার সঙ্গেই এই পাঁচ রাজ্যের মানুষদের মনে এখন একটাই প্রশ্ন, প্রতি বছরই ২২ জানুয়ারি ‘ড্রাই ডে’ ঘোষণা করা হবে কিনা৷ ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে সরকারের অন্দরে৷
এদিন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানান, “রামমন্দিরের উদ্বোধন হল বিশ্বাস, খুশি আর আনন্দের দিন৷ রাজ্যের সমস্ত স্কুল আর সরকারি অফিস ওই দিন ছুটি থাকবে৷ এছাড়াও বন্ধ থাকবে সমস্ত মদের দোকান৷”
ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, রামমন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত পরীক্ষা৷
উল্লেখ্য, ২২ জানুয়ারি শুধু রাম মন্দির উদ্বোধনকে রাজনৈতিকভাবে ফায়দা তোলার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির৷ অযোধ্যা নিয়ে দেশজুডে় ব্যাপক প্রচারের পরিকল্পনা করা হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তরফে৷ একই সঙ্গে বিজেপির কর্মীরাও বাডি় বাডি় গিয়ে অযোধ্যার রাম মন্দির নির্মাণের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করবেন এবং সাধারণ মানুষকে সেখানে যাওয়ার পরামর্শ দেবেন৷  ফলে রাম মন্দির নিয়ে উৎসাহ উদ্দীপনা লোকসভা ভোট যে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে এমনটাই মনে করা হচ্ছে৷ বিজেপি সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী মোদিও ২২ জানুয়ারির পর ভোট প্রচারে রাজ্য সফর শুরু করবেন৷ কংগ্রেসের তরফে তো এই অনুষ্ঠানকে আরএসএস-বিজেপি ইভেন্ট বলে দেগে দেওয়া হয়েছে৷ দলীয় নেতৃত্বের সাফ কথা, ধর্ম একটি ব্যক্তিগত বিষয়৷ কিন্ত্ত আরএসএস এবং বিজেপি এই রাম মন্দির উদ্বোধনের বিষয়টিকে বহু আগে থেকেই রাজনৈতিক ইসু্য বানিয়ে ফেলেছে৷ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিকভাবে ফায়দা তুলতে তারা রাম মন্দিরকে ব্যবহার করছে বলেই দাবি কংগ্রেসের৷ যদিও শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে) নেতা সঞ্জয় রাউতের বক্তব্য, যাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাঁদের অবশ্যই রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন অযোধ্যা যাওয়া উচিত৷ বিজেপিকে একহাত নিয়ে তাঁর কটাক্ষ, রাম সকলের৷ তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির ব্যক্তিগত সম্পত্তি নন৷