• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ঢাকা থেকে বিশেষ বিমানে দিল্লিতে নামলেন ২০৫ জন ভারতীয়

বিমান পরিষেবা চালু হওয়ায় অবশেষে স্বস্তি!  ছাত্র আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ প্রতিবেশী বাংলাদেশ। আন্দোলনে তছনছ গোটা বাংলাদেশের যত্রতত্র। ছাত্র বিক্ষোভের কাছে হার মেনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে হলে থামেনি বিক্ষোভের ঝড়। পরিস্থিতির ভয়াবহ দেখে ঢাকাগামী সমস্ত বিমান পরিষেবা বাতিল করেছে একাধিক ভারতীয় বিমান সংস্থা ৷ এয়ার ইন্ডিয়া, ভিস্তারা, ইন্ডিগো ঢাকাগামী একাধিক বিমান পরিষেবা

**EDS: SCREENSHOT VIA PTI VIDEO** New Delhi: Passengers come out after the Air India flight from Dhaka arrived at the airport in New Delhi, early Wednesday, Aug. 7, 2024. (PTI Photo) (PTI08_07_2024_000064B)

বিমান পরিষেবা চালু হওয়ায় অবশেষে স্বস্তি! 
ছাত্র আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ প্রতিবেশী বাংলাদেশ। আন্দোলনে তছনছ গোটা বাংলাদেশের যত্রতত্র। ছাত্র বিক্ষোভের কাছে হার মেনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে হলে থামেনি বিক্ষোভের ঝড়।

পরিস্থিতির ভয়াবহ দেখে ঢাকাগামী সমস্ত বিমান পরিষেবা বাতিল করেছে একাধিক ভারতীয় বিমান সংস্থা ৷ এয়ার ইন্ডিয়া, ভিস্তারা, ইন্ডিগো ঢাকাগামী একাধিক বিমান পরিষেবা বাতিল করা হয়েছিল। শুধু বিমান নয়, বাংলাদেশের উত্তাল পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ভারত থেকে বাংলাদেশগামী ট্রেন, বাসও। ফলে দু’দেশেই আটকে পড়েন বহু নাগরিক। অথচ অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ আটকে পড়েন বহু ভারতীয়। তাদের জীবনের আশংকায় প্রহর গুনতে শুরু করেন ভারতে থাকা তাদের স্বজনরা।

তবে অবশেষে স্বস্তির খবর। আপাতত বিমান পরিষেবা চালু হওয়ায় খানিকটা স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলেছেন দুই দেশে আটকে থাকা যাত্রীরা। এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিশেষ বিমানে বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরলেন ২০৫ জন ভারতীয়। বুধবার সকালে ঢাকা থেকে দিল্লি নামেন ওই যাত্রীরা। তাদের মধ্যে ছিল ছয় শিশুও।

সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাত্রীদের ফেরানোর জন্য মঙ্গলবার গভীর রাতে বিমানটি রওনা দেয়। অশান্ত পরিবেশে ঢাকা বিমানবন্দরে পরিকাঠামোগত সমস্যা থাকা সত্ত্বেও খুব কম সময়ের নোটিসে দিল্লিতে ভারতীয়দের ফিরিতে আনতে পেরেছে বিমানটি।

কিন্তু বুধবার থেকে দু’দেশের রাজধানী অর্থাৎ দিল্লি-ঢাকা রুটে ফের বিমান পরিষেবা চালু করছে এয়ার ইন্ডিয়া। যদিও পরিস্থিতি এখনই  স্বাভাবিক হচ্ছে না। আপাতত দিনে এবং সন্ধ্যায় একটি বিমান দুই দেশের মধ্যে চালাবে এয়ার ইন্ডিয়া।

একইসঙ্গে ভিস্তারা এবং ইন্ডিগো বাংলাদেশে বিমান পরিষেবা চালু করতে চলেছে। ভিস্তারার প্রতিদিন মুম্বই থেকে একটি বিমান বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হবে। এছাড়া সপ্তাহে তিনটি দিল্লি থেকে ঢাকাগামী বিমান চলবে।

প্রসঙ্গত, সোমবার বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনা করে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর কড়া সতর্কতা জারি করেছিল বিএসএফ। তবে মঙ্গলবার দুপুর থেকেই খুলে দেওয়া হয়েছে পেট্রাপোল, বেনাপোল, হিলিতে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তের স্থলবন্দরের গেট। বুধবার চালু হল বিমান পরিষেবাও।

সাধারণত, ঢাকার উদ্দেশে রোজ দিল্লি, মুম্বই এবং চেন্নাই থেকে একটি করে বিমাল চলে। ভিস্তারা এবং ইন্ডিগো দুটি সংস্থাই মঙ্গলবার উড়ান বিমান বাতিল করেছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে রোজ কতগুলি বিমান চলবে তা এখনও স্পষ্ট জানাতে পারছে বিমান সংস্থাগুলি।