• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

করোনা আক্রান্ত ভারতীয়দের মধ্যে সেরে উঠেছেন ২০ জন, আশঙ্কার মধ্যেও আশার আলো

সরকারি হিসেব অনুযায়ী এই মুহূর্তে দেশে ১৭৩ জন করোনা আত্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ২৫ জন বিদেশি নাগরিক। মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। 

প্রতিকি ছবি (File Photo: iStock)

ভারতে দিন দিন বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। সরকারি হিসেব অনুযায়ী এই মুহূর্তে দেশে ১৭৩ জন করোনা আত্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ২৫ জন বিদেশি নাগরিক। মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। 

কিন্তু এর মধ্যেও আশার আলো দেখা যাচ্ছে। এই জনের মধ্যে ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২০ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী যে জন সুস্থ হয়ে উঠেছে, তাঁদের মধ্যে ৯ জন উত্তরপ্রদেশ, ৩ জন কেরলে, ৩ জন রাজস্থান, ৩ জন দিল্লি ও ১ জন তামিল নাড়ু ও ১ জন তেলঙ্গনার বাসিন্দা। 

ইতিমধ্যেই এই ২০ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও তাঁদের উপর নজর রাখা হচ্ছে। সুস্থ হয়ে ওঠার পর থেকে দ্বিতীয়বারের জন্য আর করোনাভাইরাসের জীবাণু তাঁদের শরীরে পাওয়া যায়নি বলেই খবর। 

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এক কর্তা জানিয়েছেন, প্রথমে যখন কারও শরীরে করোনাভাইরাসের জীবাণু প্রবেশ করে তখন তাকে আইসোলেশন করে রাখা হয়। তারপর পর্যবেক্ষণে রাখার পর ১৪ দিনের মাথায় আর একবার পরীক্ষা করে দেখা হয়। তখন যদি তার শরীরে করোনাভাইরাসের জীবাণু আর না পাওয়া যায়, তখন পরের দিন ফের একবার তার শরীরে পরীক্ষা করে দেখা হয়। দ্বিতীয় দিনেও যদি তার শরীরে করোনার জীবাণু না পাওয়া যায় তাহলে তাকে করোনা মুক্ত বলে ধরে নেওয়া হয়। তারপর তাকে ছাড়া হয়। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নোবেল করোনাভাইরাস তথা কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত ৮০ শতাংশ মানুষ কোনওরকম বিশেষ চিকিৎসা ছাড়াই সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। মাত্র ১৫ থেকে ২০ শতাংশ মানুষের শরীরে সংক্রমণের ফলে তারা গুরুতর অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। 

কোভিড ১৯-এ আক্রান্তদের একাংশের খুবই শরীর খারাপ হতে পারে। বিশেষ করে বয়স্ক মানুষ এবং ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্ট, হার্টের ক্রনিক সমস্যা রয়েছে এমন ব্যক্তির খুবই অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে। তাঁদের অতিরিক্ত শ্বাসকষ্ট হতে পারে, শ্বস প্রশ্বাসের সময় বুকে ব্যথা হতে পারে বা শ্বাসযন্ত্রে আরও জটিল সমস্যা হতে পারে। তাদের পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে বেশিদিন সময় লাগতে পারে এমনকি কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। 

শরীর খুবই অসুস্থ হলে তবেই মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে। তাও হয় মূলত সেকেন্ডারি কোনও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের জন্য। বর্তমানে যত মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের মধ্যে মৃত্যুর হার কিন্তু খুবই কম। মাত্র ১.৪ শতাংশ থেকে ২ শতাংশ। 

ভারতে এখনও পর্যন্ত যে তিন জন মারা গিয়েছেন, তাঁদের ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্টের মতো সময়া ছিল বলেই জানা গিয়েছে। তাছাড়া তাদের বয়স অনেকটাই বেশি ছিল। সে কারণেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু সতর্কতা অবলম্বন করলে করোনাকে হারিয়ে ফিরে আসা যে সম্ভব তা জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।