প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্যবসায়ীর ১৫ লক্ষ টাকা লোপাটের অভিযোগ। হানিট্র্যাপ মামলায় দুই তরুণীকে মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপাল থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই দুই তরুণী দীর্ঘদিন ধরে এক ব্যবসায়ীকে হানিট্র্যাপের মাধ্যমে প্রতারণা করে আসছিল। ব্যবসায়ীর স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে মহিলা থানা পুলিশ দু’জনকেই গ্রেপ্তার করেছে।
ধৃতদের কাছ থেকে ২.৪ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। আগেও তাঁরা এ ধরনের প্রতারণা করছে কি না, তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে দুজনের ফোনও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মহিলা থানার পুলিশ জানিয়েছে, তিন বছর আগে ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে মেয়ে দুটির আলাপ হয়। তিনজনের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব ছিল। মাঝেমধ্যেই ওই দু’জনের সঙ্গে দেখা করতেন ব্যবসায়ী। সুযোগ পাওয়া মাত্রই ওই ব্যবসায়ীর আপত্তিকর ভিডিও তোলেন দু’জনে। এরপর ভিডিওটি ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে দু’জনেই ব্যবসায়ীর থেকে টাকা নেওয়া শুরু করেন। নানা অজুহাতে টাকা নিতে শুরু করেন দুই তরুণী।
১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার পর ওই ব্যবসায়ীর আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যায়। ব্যবসায়ীর স্ত্রী বিষয়টি জানতে পেরে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। সুরেন্দ্র নগর থেকে প্রথম তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্য মেয়েটি নিজেই থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে।
থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অঞ্জনা দুবে জানান, বাড়ির অবস্থা খারাপ হওয়ায় গত ৬ নভেম্বর ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। দুটি মেয়ের বিরুদ্ধে তাঁর স্বামীকে ব্ল্যাকমেল করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তোলেন তিনি।
ব্যবসায়ীর স্ত্রী বলেন, মেয়ে দুটির সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। ওরা ভুল স্বীকার করার বদলে আমাকে খুনের হুমকি দিয়েছে। দু’জনের বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশ দুই তরুণীকে গ্রেপ্তার করে তাঁদের ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে।