ইম্ফল, ২২ জুলাই – অগ্নিগর্ভ মণিপুরে অভিশপ্ত ৪ মে-র দিনই দুই মহিলাকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠল। ওই দিনই থৌবল এবং কংগোকপি জেলার নংপোক সেকমাই থানার কাছে মহিলাদের উপর অকথ্য অত্যাচারের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। জানা যাচ্ছে, গত ৪ মে মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলেও মহিলাদের উপর নারকীয় নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। দুই মহিলাকে সে দিন গণধর্ষণের পরে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এ ক্ষেত্রেও নির্যাতিতারা জনজাতি গোষ্ঠীর বলে খবর।পুলিশের দাবি, দুই মহিলাকে তাঁদের কর্মস্থল থেকে টেনেহিঁচড়ে রাস্তায় নিয়ে এসে গণধর্ষণের পর খুন করা হয়। শনিবার এই ঘটনায় যুক্ত পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে ১৯ বছরের এক তরুণও রয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ।
গত ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ বা এটিএসইউএম-এর কর্মসূচি ঘিরে প্রবল অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে মণিপুরে। ওই দিন রাত থেকেই বিভিন্ন মণিপুরের বিভিন্ন এলাকায় জনজাতি গোষ্ঠীভুক্ত কুকি এবং জ়ো-দের সঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেইদের সংঘর্ষ শুরু হয়। দুই সম্প্রদায়েরই বহু মহিলা নির্যাতনের শিকার হন বলে অভিযোগ। অভিযোগ ওঠে ওই ভিডিও প্রকাশ্যে না আসা পর্যন্ত বিজেপি শাসিত মণিপুরের পুলিশ ‘সক্রিয়তা’ দেখায়নি। প্রায় ৭৭ দিন পর ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরে পুলিশ তৎপর হয়। পুলিশের এই ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে।
থৌবল জেলার দুই মহিলাকে নগ্ন করে রাস্তায় ঘোরানোর ঘটনার ভিডিও এবং গণধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত চার জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করছে।