উত্তরাখণ্ডে জনতা-পুলিশ সংঘর্ষে নিহত ৪, দুই দিনে জখম ২৫০

দেরাদুন, ৯ ফেব্রুয়ারি: উত্তরাখণ্ড বিধানসভা ইউনিফর্ম সিভিল কোড বিল পাশ করার পর, নৈনিতালের হলদোয়ানি শহরে একটি বেআইনি মাদ্রাসা ভাঙাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা চরমে উঠল। আক্রান্ত হয়েছে পুলিশ ও উচ্ছেদকারী দল। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চার জনের মৃত্যু হয়েছে। জনতার আক্রোশে গুরুতর জখম হয়েছেন ২৫০ জন ব্যক্তি। তাঁদের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। গতকালই সংঘর্ষে জখম হয়েছেন ৫০ জন পুলিশ কর্মী। তাঁদের  স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নৈনিতালের জেলাশাসক বন্দনা সিং বলেন, উত্তেজিত জনতা পুলিশকে জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। জেলা প্রশাসন এলাকায় কার্ফু জারি করেছে। এবং বিক্ষোভকারীদের দেখা মাত্রই গুলির নির্দেশ দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার বানভুলপুরা এলাকায় বেআইনিভাবে নির্মিত মাদ্রাসা ভাঙতে যায় পুলিস ও প্রশাসনের একটি দল। বুলডোজার দিয়ে মসজিদ ভাঙা শুরু হতেই পুলিশের দিকে পাথর ছোঁড়ে উত্তেজিত জনতা। পালটা কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশও। সেসময় আচমকা তাঁদের লক্ষ্য করে একদল উত্তেজিত জনতা পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। হামলায় জখম হন বহু পুলিস কর্মী।

রেহাই পাননি প্রশাসন ও সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাও। হামলার পাশাপাশি থানার বাইরে গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। তড়িঘড়ি জেলাশাসক বন্দনা সিং উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি জানান, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এরপরই রাজ্য সরকার ‘শ্যুট অ্যাট সাইট’-এর নির্দেশ জারি করেছে।