• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

‘মঙ্গলসূত্র’ মন্তব্যে তীব্র বিরোধে ১৭,৪০০ আম নাগরিক

মোদির বিরুদ্ধে চিঠি কমিশনে, খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিল্লি, ২৩ এপ্রিল– কংগ্রেসকে তুলোধনা করতে গিয়ে বিপাকে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ রাজস্থানের বাঁশওয়ারায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্তব্যকে এক বাক্যে ঘৃণাভাষণ আখ্যা দিয়ে তার নিন্দায় সরব হয়েছেন বিরোধী সব নেতা৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মঙ্গলসূত্র’ মন্তব্যে অসন্তোষ বাড়ছে৷ তবে শুধু বিরোধী শিবিরই নয় মোদির বিরুদ্ধে এবার সরব আমনাগরিকও৷ ‘মঙ্গলসূত্র’

মোদির বিরুদ্ধে চিঠি কমিশনে, খতিয়ে দেখার আশ্বাস
দিল্লি, ২৩ এপ্রিল– কংগ্রেসকে তুলোধনা করতে গিয়ে বিপাকে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ রাজস্থানের বাঁশওয়ারায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্তব্যকে এক বাক্যে ঘৃণাভাষণ আখ্যা দিয়ে তার নিন্দায় সরব হয়েছেন বিরোধী সব নেতা৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মঙ্গলসূত্র’ মন্তব্যে অসন্তোষ বাড়ছে৷ তবে শুধু বিরোধী শিবিরই নয় মোদির বিরুদ্ধে এবার সরব আমনাগরিকও৷ ‘মঙ্গলসূত্র’ মন্তব্যে গড়িয়েছে জাতীয় নির্বামচন কমিশন পর্যন্তও৷ সিপিআইএম(এল), কংগ্রেসের পর এবার মোদির বিরুদ্ধে কমিশনে চিঠি লিখলেন ১৭ হাজার ৪০০ আমনাগরিক৷ ফলে একপ্রকার চাপে পড়েই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সব অভিযোগ খতিয়ে দেখছে নির্বাচন কমিশন৷
উল্লেখ্য, ঘটনার সূত্রপাত রবিবার রাজস্থানের একটি সভা থেকে৷ যেখানে প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসের ইস্তোহারের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘সরকারে থাকাকালীন কংগ্রেস বলেছিল দেশের সম্পদের উপর মুসলিমদের অধিকার সকলের আগে৷ অর্থাৎ দেশের সম্পদ বন্টন করা হবে তাদের মধ্যে, যাদের পরিবারে বেশি সন্তান রয়েছে৷ অনুপ্রবেশকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে দেশের সম্পদ৷ কংগ্রেসের ইস্তেহারেই বলা হয়েছে, মা-বোনদের সোনার গয়নার হিসেব করে সেই সম্পদ বিতরণ করা হবে৷ মনমোহন সিংয়ের সরকার তো বলেই দিয়েছে, দেশের সম্পদে অধিকার মুসলিমদেরই৷ আপনাদের মঙ্গলসূত্রটাও বাদ দেবে না৷’
লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়ে যায় তীব্র নিন্দা৷ তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধি বলেন, “প্রথম দফার ভোট শেষ হতেই হতাশ হয়ে পড়েছেন মোদি৷ সেই জন্যই মিথ্যা কথা বলে আমজনতার নজর ঘোরাতে চাইছেন৷ কিন্ত্ত দেশের মানুষ সমস্ত সমস্যার কথা মাথায় রেখেই ভোট দেবেন৷’
মোদির সেই মন্তব্য নিয়ে কমিশনে অভিযোগ ঠুকেছে কংগ্রেস ও সিপিআইএম লিবারেশন৷ শুধু তাই নয়, প্রায় ১৭ হাজার ৪০০ সাধারণ নাগরিকও৷ ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন, সেটা ভারতের একাংশের নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকারে আঘাত৷ মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর সরাসরি আক্রমণ৷’ নাগরিকদের সেই অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন মোদির মন্তব্য খতিয়ে দেখছে৷ এমনটাই দাবি সূত্রের৷