মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের খুঁজে বের করতে বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। এই অভিযানে সহায়তা করছে অ্যান্টি টেরোরিস্ট সেল (এটিসি)। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এবং স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় থানে, নভি মুম্বই, মুম্বই শহর, নাসিক প্রভৃতি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৭ জন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের ১৪ জন পুরুষ এবং ৩ জন মহিলা।
বিদেশি আইন ১৯৪৬, পাসপোর্ট (ভারতে প্রবেশ) আইন ১৯৫০, পাসপোর্ট আইন ১৯৬৭-এর অধীনে বিভিন্ন থানায় এখনও পর্যন্ত মোট ১০টি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। ধৃতরা প্রত্যেকেই কোনও বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। ধৃতদের কাছ থেকে জাল আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড মিলেছে বলেও পুলিশের দাবি। মহারাষ্ট্র সরকার অবৈধভাবে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছে।
গত সপ্তাহে মোহিন হায়াত বাদশা শেখ ওরফে মহিউদ্দিন নামে ৫১ বছরের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছিল মুম্বই পুলিশ। জেরার মুখে মহিউদ্দিন জানান, ৩৪ বছর আগে বেআইনি ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ করেছিলেন তিনি। মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভারতে প্যান, আধার এবং ভোটার কার্ডও তৈরি করিয়েছিলেন।
দিন কয়েক আগে ত্রিপুরার আগরতলা স্টেশন থেকে তিন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আগরতলা থেকে ট্রেন ধরে কলকাতায় আসার ছক কষেছিল ধৃতরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা হলেন – ছোটন দাস (১৯), বিষ্ণুচন্দ্র দাস (২০) এবং মহম্মদ মালিক (৩০)। তাঁরা নোয়াখালি এবং হাবিগঞ্জের বাসিন্দা। জিজ্ঞাসাবাদ করতেই জানা যায়, তাঁরা বাংলাদেশের নাগরিক। ওই তিনজনের কাছে ভারতের প্রবেশের কোনও নথিও পাওয়া যায়নি।