রুদ্ধশ্বাস অভিযানের পর খনি থেকে উদ্ধার ১৪ আধিকারিক

কাজ দেখতে গিয়ে লিফ্ট ছিড়ে ১৮০০ ফুট নিচে
জয়পুর, ১৫ মে– বড়সড় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হিন্দুস্থান কপার লিমিটেডের কোলিহান (এইচসিএল) খনি৷ মঙ্গলার রাতে খনিতে কাজ করার সময় বিপত্তিটি ঘটে৷ রাতে খনিতে আটকে পডে়ন কলকাতার ভিজিল্যান্স টিমের ১৪ জন অফিসার৷ রাজস্থানের ঝুনঝুনু জেলায় অবস্থিত এইচসিএল খনিতে লিফট মেশিন ছিডে় ১৮০০ ফুট নিচে পডে় যায়৷ সেখানেই ১৪ জনের সঙ্গে আটকে পডে়ছিলেন এক ভিজিল্যান্স কর্তাও৷ স্থানীয় সূত্রে খবর, কলকাতা থেকে একটি ভিজিল্যান্স দল ওই খনির কাজ দেখাশোনার জন্য গিয়েছিলেন৷ তাঁদের সঙ্গে খনির অন্য আধিকারিকেরাও ছিলেন৷ লিফটে করে খনির ভিতরে যাওয়ার সময় আচমকাই টিক রাত ৮টার সময় লিফটটি ভেঙে যায়৷ খনির ভিতরে আনুমানিক প্রায় দু’হাজার ফুট নীচে গিয়ে পডে় সেটি৷ ভিজিল্যান্স টিমের সঙ্গে এক চিত্র সাংবাদিকও ভিতরে আটকে পডে়ন৷ খনিতে কলকাতার এইচসিএলের ভিজিল্যান্স টিম এবং খেত্রী কপার কর্পোরেশনের যে সকল আধিকারিকেরা আটকে পড়েন তাঁরা হলেন, পান্ড্য (সিবিও), জিডি গুপ্তা (কেসিসি ইউনিট প্রধান), ভি ভান্ডারি (ডিএসএম), এ কে শর্মা, কেএস সেহলট, রমেশ কুমার, এ কে বাইহরা, বিনোদ শেখাওয়াত, এএ ভান্ডারি, এন সহায়, প্রীতম সিং, বিকাশ পারীক, হানসি রাম প্রমুখ৷
এই খবরটি জানার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় আশেপাশের ৪টি থানার পুলিশ, উদ্ধারকারী দল৷ তাদের উদ্ধারকার্য শুরু হয়৷ রাত থেকে জোরকদমে খনিতে উদ্ধারকাজ চলে৷ আশেপাশের হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্স ডাকা হয়৷ চিকিৎসকদের দলকেও জরুরি অবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছিল৷ দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকা মানুষদের সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি৷ অবশেষে ১২ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযানের পর বুধবার সকালে সকল কর্মীকে উদ্ধার করা হয়েছে৷ যদিও উদ্ধার হওয়া দলের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক৷ তাঁদের জয়পুরের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে৷ বাকিরা স্থিতিশীল রয়েছেন৷ পরে জানা যায় আহতদের মধ্যে এক জনের মৃতু্য হয়েছে৷ যদিও হাসপাতাল বা এইচসিএল সূত্রে মৃতু্যর খবর স্বীকার করা হয়নি৷ এই অভিযানের কৃতিত্ব উদ্ধারকারীদেরই দিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক ধর্মপাল গুর্জর৷
উল্লেখ্য, দেশের ৫০ শতাংশ তামা ঝুনঝুন এলাকার ক্ষেত্রী পাহাড় থেকে উত্তোলন করা হয়৷ এখানে ৩০০টিরও বেশি ভূগর্ভস্থ খনি থেকে রয়েছে৷ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সকলকে উদ্ধারের কাজ চলছে৷