• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

রুদ্ধশ্বাস অভিযানের পর খনি থেকে উদ্ধার ১৪ আধিকারিক

কাজ দেখতে গিয়ে লিফ্ট ছিড়ে ১৮০০ ফুট নিচে জয়পুর, ১৫ মে– বড়সড় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হিন্দুস্থান কপার লিমিটেডের কোলিহান (এইচসিএল) খনি৷ মঙ্গলার রাতে খনিতে কাজ করার সময় বিপত্তিটি ঘটে৷ রাতে খনিতে আটকে পডে়ন কলকাতার ভিজিল্যান্স টিমের ১৪ জন অফিসার৷ রাজস্থানের ঝুনঝুনু জেলায় অবস্থিত এইচসিএল খনিতে লিফট মেশিন ছিডে় ১৮০০ ফুট নিচে পডে় যায়৷ সেখানেই ১৪ জনের

কাজ দেখতে গিয়ে লিফ্ট ছিড়ে ১৮০০ ফুট নিচে
জয়পুর, ১৫ মে– বড়সড় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হিন্দুস্থান কপার লিমিটেডের কোলিহান (এইচসিএল) খনি৷ মঙ্গলার রাতে খনিতে কাজ করার সময় বিপত্তিটি ঘটে৷ রাতে খনিতে আটকে পডে়ন কলকাতার ভিজিল্যান্স টিমের ১৪ জন অফিসার৷ রাজস্থানের ঝুনঝুনু জেলায় অবস্থিত এইচসিএল খনিতে লিফট মেশিন ছিডে় ১৮০০ ফুট নিচে পডে় যায়৷ সেখানেই ১৪ জনের সঙ্গে আটকে পডে়ছিলেন এক ভিজিল্যান্স কর্তাও৷ স্থানীয় সূত্রে খবর, কলকাতা থেকে একটি ভিজিল্যান্স দল ওই খনির কাজ দেখাশোনার জন্য গিয়েছিলেন৷ তাঁদের সঙ্গে খনির অন্য আধিকারিকেরাও ছিলেন৷ লিফটে করে খনির ভিতরে যাওয়ার সময় আচমকাই টিক রাত ৮টার সময় লিফটটি ভেঙে যায়৷ খনির ভিতরে আনুমানিক প্রায় দু’হাজার ফুট নীচে গিয়ে পডে় সেটি৷ ভিজিল্যান্স টিমের সঙ্গে এক চিত্র সাংবাদিকও ভিতরে আটকে পডে়ন৷ খনিতে কলকাতার এইচসিএলের ভিজিল্যান্স টিম এবং খেত্রী কপার কর্পোরেশনের যে সকল আধিকারিকেরা আটকে পড়েন তাঁরা হলেন, পান্ড্য (সিবিও), জিডি গুপ্তা (কেসিসি ইউনিট প্রধান), ভি ভান্ডারি (ডিএসএম), এ কে শর্মা, কেএস সেহলট, রমেশ কুমার, এ কে বাইহরা, বিনোদ শেখাওয়াত, এএ ভান্ডারি, এন সহায়, প্রীতম সিং, বিকাশ পারীক, হানসি রাম প্রমুখ৷
এই খবরটি জানার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় আশেপাশের ৪টি থানার পুলিশ, উদ্ধারকারী দল৷ তাদের উদ্ধারকার্য শুরু হয়৷ রাত থেকে জোরকদমে খনিতে উদ্ধারকাজ চলে৷ আশেপাশের হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্স ডাকা হয়৷ চিকিৎসকদের দলকেও জরুরি অবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছিল৷ দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকা মানুষদের সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি৷ অবশেষে ১২ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযানের পর বুধবার সকালে সকল কর্মীকে উদ্ধার করা হয়েছে৷ যদিও উদ্ধার হওয়া দলের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক৷ তাঁদের জয়পুরের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে৷ বাকিরা স্থিতিশীল রয়েছেন৷ পরে জানা যায় আহতদের মধ্যে এক জনের মৃতু্য হয়েছে৷ যদিও হাসপাতাল বা এইচসিএল সূত্রে মৃতু্যর খবর স্বীকার করা হয়নি৷ এই অভিযানের কৃতিত্ব উদ্ধারকারীদেরই দিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক ধর্মপাল গুর্জর৷
উল্লেখ্য, দেশের ৫০ শতাংশ তামা ঝুনঝুন এলাকার ক্ষেত্রী পাহাড় থেকে উত্তোলন করা হয়৷ এখানে ৩০০টিরও বেশি ভূগর্ভস্থ খনি থেকে রয়েছে৷ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সকলকে উদ্ধারের কাজ চলছে৷