রাজস্থানে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ৯ শিশু সহ ১২ জনের মৃত্যু

শনিবার রাত প্রায় ১১টা নাগাদ রাজস্থানের সুনিপুর গ্রামের ন্যাশনাল হাইওয়ে ১১বি-তে একটি স্লিপার কোচ বাস ও একটি টেম্পোর মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এই ঘটনায় মোট ১২ জন প্রাণ হারিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে ৯ জন শিশু। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী এবং তিনি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলিকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। বারি কোটওয়ালি থানার অফিসার (এসএইচও) শিব লহরি মীনা জানান, গতকাল রাত ১১ টা নাগাদ একটি বাস ধউলপুর থেকে জয়পুরের দিকে যাচ্ছিল। সুনিপুর গ্রামের কাছে টেম্পোটিকে বাসটি ধাক্কা দেয়। দুর্ঘটনায় ১২ জন প্রাণ হারান, যার মধ্যে তিনজন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা, একজন টেম্পো ড্রাইভার এবং বেশ কয়েকজন শিশু ছিল। নিহত ব্যক্তিদের পোস্টমর্টেম করা হবে এবং বাস ও টেম্পোটি পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য তদন্ত চলছে।

পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ১৪ বছর বয়সী আসমা, ৩৮ বছর বয়সী ইরফান, ৮ বছর বয়সী সালমান, ৬ বছর বয়সী সাকির, ১০ বছর বয়সী দানিশ, ৫ বছর বয়সী আজান, ৩৫ বছর বয়সী জরিনা, ১০ বছর বয়সী আশিয়ানা, ৭ বছর বয়সী সুখি, ৯ বছর বয়সী সানিফ এবং ১০ বছর বয়সী সাজিদ রয়েছে।

দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ৩৮ বছর বয়সী ধর্মেন্দ্র এবং ৩২ বছর বয়সী প্রবীণ। বাসের চালক ও কন্ডাক্টরকেও আশঙ্কাজনক অবস্থায় জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মৃতদেহগুলি বারি সরকারি হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা এই দুর্ঘটনা নিয়ে শোকপ্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনায় যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, আমি তাদের আত্মার শান্তি কামনা করি এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।’


এই দুর্ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শোকবার্তা প্রকাশ করে বলেন, ‘ধউলপুর, রাজস্থানের দুর্ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক। যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন, সেই পরিবারগুলির প্রতি আমার সমবেদনা রইল, বিশেষ করে যাঁরা তাঁদের শিশুদের হারিয়েছেন। ঈশ্বর তাঁদের এই শোক সহ্য করার শক্তি দিন। পাশাপাশি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সাহায্যে নিয়োজিত রয়েছে।’ এই দুর্ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর তরফে নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।

বারি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এডিএফ কমল কুমার জানগিদ, সাব-ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর দুর্গা প্রসাদ মীনা, সার্কেল অফিসার মহেন্দ্র কুমার মীনা এবং সদর পুলিশ স্টেশনের ইনচার্জ বিনোদ কুমার এই দুর্ঘটনার তদন্তে সহায়তা করছেন।