পাটনা, ১০ ফেব্রুয়ারি– বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর ‘খেলা হবে’ শব্দটি এখন বেশ প্রচলিত৷ তবে বাংলা ছাপিয়ে এ যেন চেপে বসল এবার বিহারে৷ শুরু খেলা হচ্ছে বিহারে! একেবারে রাজনীতির খেলা৷ খেলার একপাশে লালুর দলের ১২ বিধায়ক৷ কিন্ত্ত অপরপ্রান্তে কে তাই এখন বিহারের রাজনীতিতে বড় প্রশ্ন৷
সূত্রের খবর, আস্থা ভোটের মাত্র ২ দিন আগে আচমকাই ‘নিখোঁজ’ আরজেডির ১২ বিধায়ক৷ এই তালিকায় বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট বিধায়ক রয়েছেন৷ তবে এ বিষয়ে আরজেডির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷
আস্থাভোটের আগে এই ১২ বিধায়কের ‘নিখোঁজের’ পেছনে বিজেপিকেই দেখছে রাজনীতিক মহল৷ বিহারেও অপারেশন লোটাসের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷ আস্থাভোটে কংগ্রেস-আরজেডির জয়ের আশা কার্যত শেষ! এর মধ্যে যদি ওই ১২ বিধায়ক শিবির বদল করে তবে মুখ পুড়বে তেজস্বীর৷
২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ১২২৷ আস্থাভোটে সহজ জয়ের বিষয় আত্মবিশ্বাসী বিজেপি-জেডিইউ৷ কারণ বিজেপির হাতে রয়েছে ৭৮ আসন, জেডিইউ-র ঝুলিতে ৪৫ আসন৷ তাদের জোটসঙ্গী হামের দখলে রয়েছে ৪ আসন৷ অর্থাৎ বিজেপি জোটে কাছে আছে ১২৭টি বিধায়কের সমর্থন৷ যা প্রয়োজেনর চেয়ে ৫ বেশি৷
উলটোদিকে বিহারের বৃহত্তম দল আরজেডি জিতেছিল ৭৯ আসনে৷ কংগ্রেস পেয়েছিল ১৯ আসন৷ সিপিএম ও সিপিআই জিতেছিল ২ টি করে আসনে৷ ফলে তাদের হাতে মোট ১০২টি আসন রয়েছে৷ ফলে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপালেও তারা আস্থাভোটে জয় নিয়ে চাপে আরজেডি৷ আর তাই দেখেই ১২ ফেব্রুয়ারি আস্থা ভোটের বিহারের জেডিইউ-বিজেপি জোট সরকারকে হারানোর চ্যালেঞ্জ ছুঁডি়ছিলেন লালুপুত্র তেজস্বী যাদব৷ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরেই বলেছিলেন, ‘খেলা বাকি হ্যায়’৷ অথচ আস্থাভোটের আগেই তেজস্বীর ঘুম উড়িয়ে গায়েব ১২ বিধায়ক৷