মােবাইল ও ২ মিনিটের নেটওয়ার্কে ১২ জনের প্রাণ বাঁচল 

উত্তরাখণ্ডে চলছে উদ্ধারকাজ (Photo: IANS)

ঘুটঘুটে অন্ধকার সুড়ঙ্গ। পায়ের নীচ দিয়ে বয়ে চলেছে ঠান্ডা জল। এক ইঞ্চি পা এদিক থেকে ওদিক হলে মৃত্যু অবধারিত। তপােবনের এই সুড়ঙ্গে লােহার রড ধরে দীর্ঘ চার ঘণ্টা ঝুলে ছিলেন ১২ জন শ্রমিক। অবশেষে তাঁদের উদ্ধার করেন আইটিবিপি-র জওয়ানরা। 

উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের কথায়, ‘এদিন ভগবানের দূত হয়ে এসেছিল একটি মােবাইল, আর তাতে দু’মিনিটের জন্য আসা নেটওয়ার্ক।’ উল্লেখ্য, রবিবার জোশীমঠে নন্দাদেবী হিমবাহ ফেটে মারাত্মক ধস নামে উত্তরাখণ্ডে। প্রবল বেগে বরফগলা জলের সঙ্গে কাদা, পাথর, নুড়ির স্রোত পাহাড় বেয়ে নেমে এসে ভাসিয়ে নিয়ে যায় সর্বস্ব। জলের তােড়ে ধুয়েমুছে সাফ তপােবন। ক্ষতিগ্রস্ত জোশীমঠ সংলগ্ন অঞ্চল। 

হিমবাহের স্রোতে চামােলির জোশীমঠে টানেলের মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও অবিশ্বাস্যভাবে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয় ১২ জন কর্মীকে। কিন্তু কীভাবেই বা মৃত্যু মুখ থেকে ফিরে এলেন তাঁরা এই প্রশ্নের উত্তরে নেপালের বাসিন্দা বসন্ত বাহাদুর জানান, রবিবার সকাল ৮ টা নাগাদ তাঁরা কাজ শুরু করেছিলেন। এদিন সাড়ে ১০ টা নাগাদ আচমকা তাঁরা চিৎকার শুনতে পান। বাইরের ভয়াবহতা সম্বন্ধে পুরােপুরি ধারণা না পেলেও আন্দাজ করতে পারছিলেন কিছুটা। প্রাণ বাঁচার জন্য একটি লােহার পাত ধরে ঝুলে ছিলেন তাঁরা। পায়ের তলায় বয়ে যাচ্ছিল বরফ ঠান্ডা জল। 


এযাত্রায় যে প্রাণে বেঁচে ফিরতে পারবেন, তা কোনােদিন ভাবেননি। সেই সময় মাত্র দু’মিনিটের জন্য নেটওয়ার্ক আসে এক শ্রমিকের মােবাইলে। বসন্ত জানায়, ওই দু’মিনিটে তাঁরা তাদের এক আধিকারিকরে ফোন করে টানেলে থাকার কথা জানান। এরপর সেই সূত্র ধরে জওয়ানরা তাঁদের উদ্ধার করে। 

ওই ১২ জনের মধ্যে ছিলেন জিওলজিস্ট কে শ্রীনিবাস রেড্ডি। ১২ জন শ্রমিকের মধ্যে কেউ গুরুতর আহত হননি। তবে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত সকলেই।